বই পড়ার যে আলাদা ইমোশন, সেটা কখনওই অন্যকোনো মাধ্যম থেকে পাওয়া যাবে না - দেবশঙ্কর হালদার

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

গতকাল ৪৫তম কলকাতা বইমেলায় শিশুদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা হল। খুদে পাঠকদের ভিড় উপচে পড়েছিল গতকালের কলকাতা বইমেলায়। চিলড্রেন্স প্যাভিলিয়ন থেকে এসবিআই অডিটোরিয়াম পর্যন্ত ক্ষুদেদের জন্য অনুষ্ঠান চলছিল। সেইরকমই একটি অনুষ্ঠানে পৌঁছে গেলেন আমাদের “প্রভাতী সংবাদ” এর প্রতিনিধি পায়েল দাস। অনুষ্ঠানটি চলছিলো এসবিআই অডিটোরিয়ামে যেখানে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি ছিল “কিশোর ভারতীর” পঞ্চাশ পেরিয়ে। এই সাহিত্য সন্ধ্যাতে উপস্থিত ছিলেন নানান গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ত্ব যেমন, শ্রী শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, শ্রী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, প্রচেত গুপ্ত, সৈকত মুখোপাধ্যায়, কবি প্রদীপ আচার্য্য এবং এই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করছিলেন ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়। কিছু নতুন বই এবং কিছু বই, যেগুলির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন হয়নি, এইরকম কিছু বই নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল।

শ্রী  শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়-এর “ফুটপাথে দোকান”, শ্রী প্রচেত গুপ্ত-এর “রূপপুরের ডবল গোলমাল”, কবি জয়ন্ত ঘোষাল-এর “আমার নাম পাকিস্তান” এইসমস্ত বইগুলির উন্মোচন করা হয়েছিল কালকের সন্ধ্যায়। এর মধ্যে আমাদের প্রতিনিধি শ্রী শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর সাথে সাক্ষাৎকারের কিছু কথা বললেন, ওনার আগামী কোন বই প্রকাশিত হতে চলেছে সেই কথা জিজ্ঞেস করাতে তিনি বলেন, বড়দের এবং ছোটোদের ওপর বেশ কিছু ওনার আসতে চলেছে। আর তার ওপর লেখালেখিও চলছে। তার সাথে আমরা পেয়েগিয়েছিলাম শ্রী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যাইয়কেও। উনি মঞ্চে বসে একটি ভীষণ গুরুত্ত্বপূর্ণ কথা বলেন। উনি বলেন যে, বাচ্চাদের চারিত্রিক বিকাশটা কেমন চলছে সেটা অনেক্তা নির্ভর করে বাচ্চারা কী ধরনের বই পড়ছে তার ওপর। এটা নিয়ে আমাদের প্রতিনিধি প্রশ্ন করলে উনি বলেন যে, বাচ্চারা হোল কোমল ফুলের মতন। তাই বইয়ের সিলেকশনও তেমনি হওয়া উচিত। তার সাথে আরও বলেন যে, জীবনে সমতা বজায় রাখতে পারাটাও আমাদের ছোটো বেলা থেকেই আমাদের নতুন প্রজন্মকে শেখানো উচিত  এবং হাল যাতে না ছাড়ে সেটা শেখানও আমাদেরই দায়িত্ব। এই ফাঁকে আমাদের প্রতিনিধি পেয়ে যান ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়কেও। তাকে প্রশ্ন করাতে তিনি জানান, যে ক্ষুদে পাঠকরা কালকের দিনটিকে নিয়ে খুবই উৎসাহিত ছিল এবং বই বিক্রিও খুব ভালো হয়েছে। 

তারপর আমরা পেয়ে গিয়েলাম বিখ্যাত দেবশঙ্কর হালদারকে। আমাদের প্রতিনিধি তাঁকে প্রশ্ন করেন যে অডিও বুক এবং ইউটিউব যে গল্পগুলো আজকাল ভীষণ ভাবে পাওয়া যাচ্ছে এর জন্যে কী বই পড়ার ইচ্ছেটা চলে যাচ্ছে? এই কথায় উনি বলেন যে, মোটেও না। বই একটা আলাদা ইমোশন এবং ভালোবাসার জায়গা। কখনই অন্যান্য মাধ্যম সেই জায়গাটা নিতে পারবে না। নানান ভাবে বইকে বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টাও চলছে। 

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Payel Das

Tags:

Related News