লোকসভা ভোটের আগেই দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে খুলে যাবে দীঘার নতুন জগন্নাথ মন্দির

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

সমুদ্র সৈকত এলাকা দিঘা এমন একটি পর্যটন কেন্দ্র যেখানে বছরের অধিকাংশ সময় পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। রাজ্য, দেশ এমনকি বিদেশ থেকেও এই পর্যটন কেন্দ্রে আগমন ঘটে পর্যটকদের। পর্যটকরা এখানে দিঘা ছাড়াও ঘুরে দেখার সুযোগ পান মন্দারমনি, তাজপুর, শঙ্করপুরের মত সমুদ্র সৈকত এলাকা। জগন্নাথ দেবের মন্দিরের জন্য আগামীতে দিঘা পর্যটন মানচিত্রে আলাদা নজর কাড়তে চলেছে। কারণ এই দীঘাতেই পুরীর আদলে জগন্নাথ দেবের মন্দির খুব তাড়াতাড়ি খুলে যাবে।

বিধানসভায় ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের প্রশ্নের জবাবে নগরোন্নয়ন মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই দিঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের জন্য ৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, লোকসভা ভোটের আগে জগন্নাথের মন্দিরও জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। 

নিউ দিঘা রেলস্টেশন থেকে ওল্ড দিঘাগামী সড়কের পাশে ২০ একর জমির উপর তৈরি করা হচ্ছে এই মন্দির এবং মন্দির তৈরি করার ক্ষেত্রে রাজস্থানের বংশী পাহাড়পুরের বেলেপাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ কাজ পরিদর্শনের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই মন্দির আগামী দিনে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে চলেছে। পুরীর মন্দিরের সমান উচ্চতা হবে এই মন্দিরের। মন্দিরে ভোগশালা রথ রাখার জায়গার পাশাপাশি ভক্তদের বসার জায়গা থাকবে। তিনি আরো জানান পুরীর মন্দিরের থেকে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ আলাদা হবে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ নিম কাঠের তৈরি এখানে তা হবে মার্বেল পাথরের। 


নির্মাণের দায়িত্বে থাকা সংস্থা হিডকোর তরফে জানানো হয়েছে মন্দিরের মূল অংশটির উচ্চতা হবে 65 মিটার। প্রস্তাবিত প্রজেক্টের জন্য 100 কোটি টাকারও বেশি খরচ হবে।’’

দিঘায় প্রস্তাবিত জগন্নাথ মন্দিরের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ হতে চলেছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ বা আগামী বছরের শুরুতে এটি সকলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। 

বিধানসভায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, চব্বিশ সালেই দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে  রাজ্য সরকারের। তিনি আরও জানিয়েছেন, দীঘায় নতুন এই মন্দির নির্মাণের জন্য ১৪৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। মন্দির নির্মাণের জন্য কোনও প্রতিষ্ঠান বা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোনও আর্থিক অনুদান নেওয়া হয়নি। সম্পূর্ণটাই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে খরচ হয়েছে।

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দীঘাকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে কারণে রাজ্যের তরফে একগুচ্ছ পদক্ষেপও নেওয়া হয়। যার ফলে দীঘায় পর্যটকের সংখ্যাও অনেকগুন বেড়েছে। পর্যটকেদের আরও দীঘামুখী করতেই সেখানে মন্দির নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : প্রিয়শ্রী

Related News