প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী বাপি লাহিড়ির ফিরে দেখা কিছু কথা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বছর পড়তে না পড়তেই সঙ্গীত জগতে বেজেছে বিষাদের সুর। সম্প্রতি বীদায় নিয়েছেন সুরসম্রাগ্রী লতা মাঙ্গেস্কর ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। আর তার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে জীবনাবসান হয় সঙ্গীত শিল্পী-সুরকার বাপি লাহিড়ির। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত এক মাস ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি এবং গত সোমবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পরই স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় ফের মঙ্গলবার ভর্তি করা হয় তাঁকে। এর পর মঙ্গলবার মধ্যরাতের কিছু আগে মাত্র ৭০ বছর বয়সেই ওএসএ (অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া) র কারণে মৃত্যু হয়' তার। 
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় ১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম হয় বাপি লাহিড়ির। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু’ জনেই ছিলেন গানের জগতের মানুষ এছাড়াও কিশোর কুমার তার আত্মীয় হওয়ায় ছোট থেকেই তিনি বড় হয়েছেন সাঙ্গীতিক পরিবেশে। যার শুরুটা হয় ৩ বছর বয়সে তবলা বাজানো দিয়ে। আর তার পর মাত্র ১৮ বছর বয়সে শুরু হয় তার প্লেব্যাক সঙ্গীত। 

এরপর ১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাম বাপি লাহিড়ি। ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, ডান্স ডান্স’, ‘হিম্মতওয়ালা’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, ‘সত্যমেব জয়তে’, ‘কম্যান্ডো’, ‘শোলা অউর শবনম’-র মতো নানান সুপার হিট ছবির গানে সুর দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে তাঁর শেষ গান ‘বাগি থ্রি’-র জন্য। এছাড়াও বাংলায় ‘অমর সঙ্গী’, ‘আশা ও ভালবাসা’, ‘আমার তুমি’, ‘অমর প্রেম’-সহ একাধিক ছবিতে সুর দিয়েছেন। 
গানের পাশাপাশি ভালোবাসতেন সোনার গয়না পড়তে। এছাড়াও রাজনীতিতেও উত্সাহী ছিলেন তিনি। আর তার জেরেই ২০১৪-য় শ্রীরামপুর লোকসভায় বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। যদিও তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sohini Chatterjee

Tags:

Related News