গত কয়েক দশকের নাম না জানা কিছু বিলুপ্তপ্রায় পাখিদের কথা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

জলবায়ুর পরিবর্তন ও মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার পরিবর্তনের খেসারত দিতে হচ্ছে পরিবেশকে। আমরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে হয়ে উঠছি নিষ্ঠুর ও নির্মম। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে জীববৈচিত্রে। পশুর পাশাপাশি বিলুপ্তির পথে আজ বহু পাখিও। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব পাখির কথা। 
১. ব্ল্যাক ফেসড হানিক্রিপার- গায়ের রঙ ধূসর ও মুখ ঠোঁট কালো হওয়ায় এই পাখির নাম ব্ল্যাক ফেসড হানিক্রিপার। বিশেষজ্ঞদের মতে ২০০৪ সালে সর্ব শেষ ব্ল্যাক ফেসড হানিক্রিপারের মৃত্যু হয়। এবং তার আর কোনো প্রজাতি বেঁচে না থাকায় এটি পৃথিবী থেকে চিরতরে লুপ্ত হয়ে যায়। 
২. প্যাসেঞ্জার পিজিয়ন- ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারা এই পিজয়ন। প্রধানত পূর্ব উত্তর আমেরিকার পর্ণমোচী বনে বাস করত। কিন্তু যথাযথ খাদ্য ও বাসস্থানের অভাবে ১৯১৪ সালেই পায়রার এই প্রজাতি লুপ্ত হয়ে যায়। 
৩. হুইয়া- হুইয়া বা হেটেরালোচা অকুটিরোস্টিস হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের ওয়াটেল জাতের পাখির সব থেকে বড় প্রজাতি, এরা নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপের এন্ডেমিক পাখি। এই দ্বীপেই শুধু এদের দেখা যায়। তবে দুটি প্রধান কারণে ২০ শতকের শুরু থেকে এদের বিলুপ্তি শুরু হয়েছে। 

৪. ডোডো পাখি- মরিশাসের বিলুপ্ত পাখিদের মধ্যে অন্যতম একটি পাখি হলো ডোডো। এই পাখির বিলুপ্তি ঘটে আনুমানিক ১৬৬২ সালে ওলন্দজের হাতে। পাখি গুলির সাথে মানুষের কখনো দেখা হয়নি তাই এরা মানুষের সংস্পর্শে আসতে ভয় পেতো না। তাই শিকারীরাও এদের খুব সহজে ধরতে পারতো। আর এখান থেকেই এদের নাম হয় "ডোডো"। যার অর্থ নির্বোধ। 
৫. লালমুখ দাগিডানা- পাখির মধ্যে লালমুখ দাগিডানা একসময় সিলেটে দেখা যেত। সেখানকার পাহাড়ি বাঁশঝাড়ে এরা বাসা বাঁধত। ওই বিশেষ জাতের পাহাড়ি বাঁশঝাড় প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় এই পাখিরাও এ দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ফুট উচ্চতার একেকটি সারস বাংলার নদীর ধারে ঘুরে বেড়াত। জলাভূমির শামুক ও ঝিনুক ছিল এদের খাবার। মূলত শিকারিদের কবলে পড়ে এই বিশাল পাখিটি এ দেশ থেকে হারিয়ে গেছে।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sohini Chatterjee

Tags:

Related News