সৌন্দর্য, সাজসজ্জা উৎসব বিবাহের সময় এই ফুলের ব্যবহার হয়।

banner

#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:

সৌন্দর্য, সাজসজ্জা উৎসব বিবাহের সময় এই ফুলের ব্যবহার হয়। এছাড়া ত্বকের সমস্যাগুলির নির্মূল করতে ও ত্বককে ত্রুটিহীন এবং চকচকে করতে এই ফুলের গুণের অপরিহার্য বলে গণ্য করা হয়। সকল ফুলের রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা। তবে আমরা কিছু ফুলের স্বাস্থ্য উপকারিতা জানি আবার কিছু জানি না। তেমনই একটি ফুলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আজ আলোচনা করব। সে ফুলটি হল গাঁদা ফুল। গাঁদা ফুলের নানাবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা....


কাটা স্থানের রক্ত পড়া বন্ধ করে
করীরের কোথাও কেটে গেলে সেখানে গাঁদা ফুলগাছের পাতা ডলে তার রস লাগিয়ে দিলে দ্রুত রক্তপড়া বন্ধ হয়। অল্প কাটা হলে কাটা স্থান এতে দ্রুত জোড়া লেগে যায়। পাতাবাটা কাটা স্থানে পট্টির মতো লাগিয়ে ব্যান্ডেজ বা কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখলে কিছুক্ষণের মধ্যে কাটা স্থানের রক্তপড়া বন্ধ, জোড়া লাগা এমনকি ব্যাথাও কমে যায়।

গাঁদা ফুলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। ফলে আমাদের শরীরে কোন ফোঁড়া বা টিউমার হতে রক্ষা করে এই গাঁদা ফুল।

ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে গাঁদা ফুলের পেস্ট বা গুঁড়ার সঙ্গে টক দই, গোলাপ জল ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যাবে। দুধের সরের সঙ্গে গাঁদা ফুলের পেস্টের মিশ্রণ ত্বকের শুষ্কতা ও বলিরেখা দূর করে।

গাঁদা ফুলের রস নিয়ে একটি গবেষণা করতে গিয়ে ব্যাকটেরিয়া কানের সংক্রমণ এবং ব্যথা হ্রাস করতে চিকিৎসা করতে কানের গহ্বরে অভ্যন্তরে ড্রপ আকারে প্রয়োগ করা হয়ে। গবেষণায় এটি পাওয়া গেছে যে গাঁদা ফুলের রস ব্যবহারের মাত্র দু’দিনের মধ্যে অভ্যন্তরী-কানের ফোলাভাব এবং প্রদাহকে হ্রাস করতে পারে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার ছাড়াই। গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায় যে, গাঁদা ফুলের নিষ্কাশিত রস দিয়ে কনজেক্টিভাইটিস এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী চক্ষু প্রদাহজনক সমস্যার চিকিৎসা করতে সক্ষম।

গাঁদা ফুলের পাপড়ি অল্প পরিমাণ মাখনের সাথে মিশিয়ে টানা কয়েকদিন খেলে অর্শ্ব-পাইলসের সমস্যা দূর হয় এবং রক্ত পড়া দূর হয়। এছাড়াও গাঁদা ফুল শুকিয়ে পুড়ে ছাই দেয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়, মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়, মুখের ঘা হওয়া থেকে বাঁচায়।

গাঁদা ফুলের তীব্র গন্ধ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সামগ্রী এবং উদ্বায়ী তেলের কারণে, গাঁদা প্রাকৃতিকভাবে মশা, কীটপতঙ্গ এবং অন্যান্য পোকামাকড়কে দূরে রাখতে ব্যবহার করা হয়। এই কারণে গাঁদা ফুলকে সাধারণত বাগানে রোপণ করা হয় এবং এর থেকে নিষ্কাশিত রস দিয়ে স্প্রে তৈরি করে ঘরে ছিটানো হয় কিংবা লোশন তৈরি করে সারা শরীরে মাখালে পোকা-মাকড় বা মশা শরীরের আশেপাশে ঘেষতে পারেনা।

গাঁদা ফুল বেটে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে মাথায় ১০/১৫ দিন লাগালে মাথার খুশকি দূর হয়, চুল কালো হয়।

গাঁদা ফুল শুকিয়ে পুড়ে ছাই দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়, মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়,মুখের ঘা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

অনেক সময় মহিলাদের অনিয়মিত মাসিক হয় বা মাসিকের সময় পেট ব্যাথা করে।সাধারণত বাড়ন্ত বয়সের মেয়েদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশী হয়। আর এসমস্যা সমাধানে প্রতিদিন গাঁদা ফুলের চা অনেক উপকারী। এতে ব্যাথা কমে ও মাসিকের সমস্যা দূর হয়।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News