মঙ্গল গ্রহে প্রাকৃতিক শক্তির সন্ধান

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বিজ্ঞানীদের ধারণা, আজ থেকে প্রায় ১০০ কোটি বছর আগে মঙ্গল ভিন্ন একটি গ্রহ ছিল। তখন মঙ্গলে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ছিল। এছাড়া ছিল ঘন বায়ুমণ্ডল এবং প্রবাহমান জলরাশি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ঘটনাচক্রে জল শুকিয়ে যায় এবং আগ্নেয়গিরি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।মঙ্গল হলো সূর্য থেকে চতুর্থ দূরবর্তী গ্রহ এবং বুধের পরেই সৌরজগতের দ্বিতিয়-ক্ষুদ্রতম গ্রহ। ইংরাজি ভাষায় মঙ্গল গ্রহ রোমান পুরাণের যুদ্ধদেবতা মার্সের নাম বহন করে এবং প্রায়শই এই গ্রহটিকে “লাল গ্রহ” নামে অভিহিত করা হয়। মঙ্গল একটি শিলাময় গ্রহ এবং এর বায়ুমণ্ডল ঘনত্বহীন। এই গ্রহের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে যেমন চাঁদের মতো অভিঘাত খাদ দেখা যায়, তেমনি পৃথিবীর মতো উপত্যকা, মরুভূমি ও মেরুস্থ হিমছত্রও চোখে পড়ে।
“মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনের” ধারনাটি বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা ও বেসরকারি কর্পোরেশনগুলির কাছ থেকে যেমন ব্যাপক সাড়া পেয়েছে এবং বিজ্ঞান কথা সাহিত্য রচনা , চলচ্চিত্র ও শিল্পের ক্ষেত্রেও এ বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে। মঙ্গলে বসতি স্থাপনের মূল কারণগুলোর মধ্যে আছে কৌতূহল, মানুষবিহীন রোভারের আরও গভীর পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা করার প্রয়াস, এর উৎসসমূহে অর্থনৈতিক আগ্রহ এবং অন্যান্য গ্রহে বসতি স্থাপনের মাধ্যমে মানবজাতিকে বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করার সম্ভাবনা সৃষ্টি। প্রতিবন্ধকতা ও ঝুঁকির মধ্যে আছে মঙ্গলে ভ্রমণের সময় এর ভূপৃষ্ঠের বিকিরণের সংস্পর্শে আসা, বিষাক্ত মাটি, নিম্ন মধ্যাকর্ষণ, সুপেয় জলের অভাব, শীতল তাপমাত্রা এবং পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব ও যোগাযোগের বিচ্ছিন্নতা যা একাকিত্বের সৃষ্টি করে।

মঙ্গল এখন জীবন্ত! দেখে তাজ্জব বিজ্ঞানীরা। বোল্ডার নড়ে চড়ে বেড়াচ্ছে মঙ্গলপৃষ্ঠে। আহমেদাবাদের “দ্য ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবটরি”র বিজ্ঞানীরা মঙ্গল পৃষ্ঠে নড়তে-চড়তে থাকা পাথরখণ্ড দেখে বিস্মিত ও আশান্বিত। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, লালগ্রহে বা মঙ্গল গ্রহে মানব প্রেরিত রোভার ইত্যাদি যন্ত্রের চলাচলের কারণে নড়েচড়ে যেতেই পারে মঙ্গলপৃষ্ঠের পাথরখণ্ড। তবে তারা সমস্ত সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক শক্তি।
মানুষ যে এখন চিন্তা করছে, কোনো একদিন তারা মঙ্গলে উপনিবেশ গড়বে, সেই চিন্তার ফলে আরও যুক্তিযুক্ত হতে চলেছে বলেই বিজ্ঞানীরা জানান। মঙ্গলে সম্প্রতি ভূমিকম্প হওয়ার কারণেই কোথাও কোথাও ওলট পালটের চিহ্ন - এমনটাই অনুমান করছেন বিজ্ঞানীরা। এই সূত্রে আহমেদাবাদের “দ্য ডক্টর ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবটরি”র বিজ্ঞানী এস বিজয়ন জানান, “মঙ্গল এক সক্রিয়!”

বোল্ডার সচল হওয়ার ফলে তা গড়িয়ে যায়। আর তার প্রত্যেক আঘাতে মঙ্গলভূমির উপর যে স্তর, যাকে “রেগলিথ” বলে তার উপর দাগ পড়ে। বর্তমানে “ভি” আকৃতির একটি আকার দেখা গিয়েছে। খবর সূত্রে, প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকা জুড়ে ৪৫০০ মতো ট্র্যাক ধরা পড়েছে। বিজ্ঞানীরা ঐ ট্র্যাকগুলি সম্পর্কে বলেছেন, এর অর্থ মঙ্গল গ্রহটি সম্প্রতি প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। মঙ্গলের যে অংশে এই ট্র্যাকগুলি ধরা পড়েছে তার নাম “সারবিরাস ফসা”।বিজ্ঞানীদের বলছেন, মঙ্গল গ্রহের গাত্রে এরকম অনেক দাগ ধরা পড়েছে। কিছু দাগ কয়েক দশকের পুরনো। আবার কিছু দাগ মুছে গিয়ে নতুন দাগ তৈরি হয়। তবে এই ট্র্যাক দেখে বোঝা গিয়েছে, এগুলি সাম্প্রতিক।  

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aditi Sarker

Tags:

Related News