হাতে আর মাত্র ১ দিন তারপরে রথযাত্রা। আগামী ২৭শে জুন রথযাত্রা আর তার নিয়ে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়েছে দিঘার জগন্নাথ ধামে। শুক্রবার পরীক্ষামূলকভাবে দিঘার জগন্নাথ ধাম থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তায় তিনটি রথকে পরীক্ষামূলক ভাবে টানা হয়। এই মুহূর্তে যেহেতু স্নানযাত্রা চলায় জগন্নাথ দেব শয়নে রয়েছেন তাই মন্দির দর্শন করলেও মূর্তি দর্শন করতে পারছেন না ভক্তরা। এবারের রথযাত্রা দিঘার নতুন জগন্নাথ ধামেই প্রথমবার উদযাপিত হতে চলেছে, যা সমুদ্রতীরবর্তী এই পর্যটন শহরকে নতুনভাবে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ে সমৃদ্ধ করবে । গত ৩১ মে ও ২৬ মে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্যর নেতৃত্বে রথমিছিলের নিরাপত্তা সভা অনুষ্ঠিত হয়, যাতে ভিড় কন্ট্রোল , বিদ্যুৎ–জল, ইমার্জেন্সি পরিষেবা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ ও রাস্তার আশপাশে দোকান-ঢিবিব টাইমলি সরিয়ে পৃথক রুট ডিজাইন প্রণয়ন প্রস্তুতি চলছে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজ থেকে ‘সোনার ঝাড়ু’ দান করেছেন, যা রথ চলার আগে রাস্তা পরিষ্কারের প্রতীকী গুরুত্ব বহন করে। ঈদের ছুটির সঙ্গে মিলিত রথযাত্রার জন্য ট্রেন ও বাসেরও ভিড় ব্যাপক। পাঁসকুড়া–দিঘা রুটে অতিরিক্ত ট্রেন ব্যবস্থা (২৫ জুন–১০ জুলাই) চালু করা হয়েছে ।দিঘা শহরের মোট ১,৮০০ টোটোর মধ্যে অর্ধেক (৯০০) ন্যায্য ভাড়ার জন্য চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে; যাতে পর্যটকদের ভাড়া সংক্রান্ত সুবিধা ও সাশ্রয়তা নিশ্চিত হয় । নতুন মন্দিরের কারণে Volvo বাস সেবা চালু হয়েছে, কলকাতা-দিঘা-শিলিগুড়ি রুটে উল্লেখযোগ্য উত্থান দেখা গেছে । হোটেল বুকিং, গেস্ট হাউজ ও লোকাল ব্যবসায়ী দিঘায় রথযাত্রার নিয়ে তারা আশাবাদী।
দিঘার প্রথম রথযাত্রা শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি ঐতিহাসিক ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। দিঘা এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে প্রস্তুত হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের জন্য। আগামী ২৭ জুনে দিঘার সমুদ্র সৈকতে পূর্ণতা পাবে এই নতুন কাহিনী।