ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার দুই মহান গ্রন্থ – শ্রীমদ্ভগবত গীতা ও ভরত মুনির নাট্যশাস্ত্র – ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এটি ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য এক গৌরবোজ্জ্বল এবং ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে যে, ভারতের শাশ্বত জ্ঞান ও শিল্প বিশ্বদরবারে কতটা মূল্যবান ও প্রাসঙ্গিক। এই গুরুত্বপূর্ণ খবরটি কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X (পূর্বতন টুইটার)-এ শেয়ার করেন। তিনি বলেন, _“এটি ভারতের সভ্যতার ঐতিহ্যের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। শ্রীমদ্ভগবত গীতা এবং ভরত মুনির নাট্যশাস্ত্রকে ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই বিশ্বব্যাপী সম্মান ভারতের শাশ্বত জ্ঞান এবং শিল্পের মহিমাকে স্বীকৃতি দেয়।”_
উলেখ্য, এই ঘোষণার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শেখাওয়াতের পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখেন, _“বিশ্বজুড়ে প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য এটি গর্বের মুহূর্ত। গীতা এবং নাট্যশাস্ত্রের ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে নাম আসা, আমাদের দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি।”_ তিনি আরও লেখেন, _“ভগবত গীতা এবং নাট্যশাস্ত্র যুগ যুগ ধরে আমাদের সভ্যতা এবং চিন্তাধারাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। এদের কথা এবং জ্ঞান বিশ্বকে সর্বদা অনুপ্রাণিত করে চলেছে।”মহাভারত-এর অংশ হিসেবে রচিত গীতা কেবল ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, বরং মানব জীবনের দর্শন, কর্মনীতি ও আত্মিক উন্নয়নের পথনির্দেশিকা হিসেবেও বিশ্বজুড়ে শ্রদ্ধেয়। এটি বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিন্তাবিদ ও নেতৃবৃন্দের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।
নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির নতুন রূপ ‘কোস্টাও’-তে
প্রসঙ্গত, প্রাচীন ভারতের নাট্যকলার প্রাচীনতম ও সবচেয়ে প্রভাবশালী গ্রন্থ *নাট্যশাস্ত্র*, সংস্কৃত ভাষায় রচিত। এটি কেবল নাটক নয়, নৃত্য, সংগীত, অভিনয়, আবেগ প্রকাশ ও শ্রোতা-মঞ্চের সম্পর্ক নিয়েও বিশদ নির্দেশ দেয়। বিশ্বব্যাপী নাট্য ও পারফর্মিং আর্টস শিক্ষার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচিত।‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ হল ইউনেস্কোর একটি উদ্যোগ, যার মাধ্যমে মানব ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য দলিল, গ্রন্থ, পাণ্ডুলিপি, ও গ্রন্থভাণ্ডার সংরক্ষিত ও স্বীকৃত হয়। এর অন্তর্ভুক্তি মানে ঐতিহাসিক ঐক্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।এই অভূতপূর্ব স্বীকৃতি ভারতকে আবারও বিশ্ব দরবারে তার প্রাচীন জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য সম্মানিত করল। এটি নতুন প্রজন্মকে এই গর্বিত অতীত সম্পর্কে আরও জানাতে ও তা ধরে রাখতে অনুপ্রাণিত করবে।