ভারতীয় ক্রুজের ইতিহাস

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

প্রাচীনকাল থেকেই ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্য ও যাতায়াতের অন্যতম প্রধান ব্যাবস্থা নৌ পরিবহণ। উত্তরে কাশ্মীর-হিমাচলের খরস্রোতা নদী থেকে শুরু করে দক্ষিণে কেরলের ব্যাকওয়াটার ও পশ্চিমে কচ্ছের রণ-খাম্বাত উপসাগর থেকে পূর্বে সুন্দরবনের দ্বীপগুলির মধ্যে জালের মতো ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য নদী, খাঁড়ি- সব মিলিয়ে ভারতের জলপথ বিপুল বৈচিত্র্যে ভরা।

তথ্য বলছে, ভারতের মোট ১৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার জলপথের মাত্র ৫ হাজার ৬৮৫ কিলোমিটার পথ নৌ-বহনযোগ্য। সেই জলপথেই ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে, পাশাপাশিই বেড়েছে ক্রুজ সফরও। চলুন  দেখে নেওয়া যাক দেশের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিলাসবহুল ক্রুজ

ব্রিটিশ আমলের কলকাতা কেমন ছিল, তা জানার একমাত্র ঠিকানায়, দ্য বেঙ্গল প্যাডেল। ব্রিটিশ আমলে, ১৯৪৫ সালে তৈরি এই ক্রুজ প্রথম দিকে পিএস ভোপাল নামে হুগলি থেকে ফেরি পরিষেবার উদ্দেশে ব্যবহৃত হত। ব্রিটিশ ভারতের পড়ে থাকা এই শেষ ক্রুজ এখন একটি আস্ত মিউজিয়াম। দ্য বার্জ কোম্পানির মালিকানায় এই ক্রুজকে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফ্যাশন শো ও অন্যান্য নানা ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়। এর তিনটি ডেকে দাঁড়িয়ে, ফুরফুরে হাওয়া খেতে খেতে গঙ্গার মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন অতিথিরা। এই ক্রুজে ৫০০ জন যাত্রী চাপতে পারেন।

কর্ডেলিয়া ক্রুজ পরিচালিত এই ক্রুজের সফরসূচি সাত দিনের। মুম্বই থেকে এই ক্রুজের গন্তব্য কোচি, গোয়া, লাক্ষাদ্বীপ। যাত্রীদের জন্য রয়েছে ঝাঁ-চকচকে

কেবিন, একাধিক ডাইনিং হল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিনোদন আর উত্তাল সমুদ্রের অপরূপ দৃশ্য। রান্নার মেনুও বিশেষ লোভনীয়, তাতে ভারতীয় থেকে সাহেবি, কত রকমের খাবার। দীপাবলি, বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ক্রুজ কর্তৃপক্ষ অয়োজন করেন নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অন্তরা ক্রুজের অধীনে এই বিলাসবহুল জলযান ভারতে তৈরি প্রথম ক্রুজ। এবছর ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এর উদ্বোধন করেন। বারাণসী থেকে শুরু করে দেশের পাঁচটি রাজ্য ও বাংলাদেশ হয়ে আসামের ডিব্রুগড়ে মোট ৫১ দিনে শেষ হয় বিশ্বের দীর্ঘতম এই ক্রুজ সফর। যাত্রাপথে পড়ে বারাণসী, বুদ্ধগয়া, বিক্রমশীলা, পটনা ও বাংলাদেশের ঢাকা। তিনটে ডেক ও ১৮টি বিলাসবহুল কেবিন মিলিয়ে এই ক্রুজে ধরতে পারেন ৩৬ জন। আছে নদীর তীরে ঘোরার ব্যবস্থা, মেনুতে লোভনীয় খাবার আর হরেকরকম বিনোদনের ব্যবস্থা।

সেরার সেরা বলে পরিচিত  ক্রুজ আরভি বৈকুন্ডামের চারণক্ষেত্র কেরলের ব্যাকওয়াটার। কেরলের প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী নৌকোর মতোই এর গড়ন। এতে রয়েছে ন'টি বিলাসবহুল কেবিন, রেস্তোরাঁ, পানশালা ও আয়ুর্বেদিক মালিশের তোফা ব্যবস্থা। কেরলের প্রচলিত খাদ্যসংস্কৃতি অনুযায়ী কলাপাতায় অতিথিদের পরিবেশন করা হয় বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার। দুই থেকে সাত দিনের সফরসূচিতে রয়েছে কোচি, আলেপ্পি, চঙ্গনকারি, থোত্থাপ্পাল্লি। কেরলের প্রত্যন্ত গ্রাম, বিচিত্র বন্যপ্রাণ, ঐতিহ্যবাহী নাচ, লোকসংস্কৃতি, ও মার্শাল আর্ট এই সফরে অতিথিদের বিশেষ দ্রষ্টব্য।


#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Ashapurna Das Adhikary