বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সোনু সুদ, যিনি করোনা লকডাউনে সাধারণ মানুষের সাহায্যে অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন, বর্তমানে একটি মামলার মধ্যে জড়িয়ে পড়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একটি ভুয়ো বিনিয়োগ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত, যার নাম 'রিজিকা কয়েন'। এই প্রকল্পে হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে অর্থ লগ্নি করতে প্রলুব্ধ করা হয়। মামলার সূত্রপাত লুধিয়ানার আইনজীবী রাজেশ খান্নার দায়ের করা অভিযোগ থেকে তিনি দাবি করেছেন, মোহিত শুক্লা নামক এক ব্যক্তি তাকে ‘রিজিকা কয়েন’ নামের প্রকল্পে ১০ লাখ টাকা লগ্নি করতে প্রলুব্ধ করে। এর ফলে অনেকেরই বড় অঙ্কের টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই মামলায় সোনু সুদকে সাক্ষ্য দিতে আদালতে তলব করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি উপস্থিত হননি। তার অনুপস্থিতি এবং আইনি প্রক্রিয়া এড়ানোর চেষ্টা করায়, লুধিয়ানা আদালত অভিনেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
অভিষেক-ঐশ্বর্য কন্যা ১৩ বছরের কিশোরী আরাধ্যা দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছেন
লুধিয়ানা আদালত নির্দেশ দিয়েছে, মুম্বইয়ের আন্ধেরির ওশিওয়ারা থানার অফিসার-ইন-চার্জকে সোনু সুদকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করতে। আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, সোনু সুদকে যথাযথভাবে সমন পাঠানো হলেও তিনি আদালতে উপস্থিত হননি, যা আদালতের নির্দেশনার প্রতি অবজ্ঞা বলে বিবেচিত। আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে, ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে এর কারণ আদালতে জানাতে হবে। সোনু সুদ, যিনি করোনাকালে লাখো মানুষের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করে নিজেকে দেশের ‘মসিহা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, এখন এই বিতর্কিত পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন। তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগের কারণে তিনি এখন জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে আরও নতুন তথ্য সামনে আসতে পারে। এখন দেখার বিষয়, সোনু সুদ এই অভিযোগের বিষয়ে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখান এবং তাঁর ভবিষ্যতের জন্য এই মামলার কী প্রভাব পড়বে।