বিনোদন দুনিয়ার আলোচনায় সম্প্রতি উঠে এসেছে আরাধ্যা বচ্চন, যিনি হলেন কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের নাতনি এবং অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের মেয়ে। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই তিনি আবারও সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন, তবে এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইনগত বিষয়।
সম্প্রতি, আরাধ্যা বচ্চনের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে কিছু জায়গায় তাকে "গুরুতর অসুস্থ" বা "মৃত" বলে দাবিও করা হয়েছে। এই মিথ্যা খবরের কারণে তিনি দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। তার অভিযোগ, এসব বিভ্রান্তিকর সংবাদ তার সম্মান এবং মানসিক শান্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ প্রসঙ্গে, আরাধ্যা তার আইনজীবী মারফত গুগল, বলিউড টাইমস এবং অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। এই নোটিশে তাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে তারা আরাধ্যার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত ভুল তথ্য এবং ভিডিও দ্রুত সরিয়ে ফেলে। আগামী ১৭ মার্চ তার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
গ্র্যামি পুরষ্কার ২০২৫: সঙ্গীতের আকাশে নতুন তারকার উত্থান
প্রসঙ্গত, এটা নতুন কিছু নয়, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে দিল্লি হাইকোর্ট গুগলসহ একাধিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে নির্দেশ দিয়েছিল, যাতে তারা আরাধ্যা সম্পর্কিত মিথ্যা সংবাদ সরিয়ে ফেলে। তবে আদালতের পরবর্তী শুনানিতে জানানো হয় যে, এখনো কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য অনলাইনে রয়ে গেছে। এসময় বিচারপতি সি হরি শঙ্কর বলেন, “প্রতিটি শিশুর উপযুক্ত মর্যাদা ও সম্মান প্রাপ্য।” তিনি বলেন, একজন নাবালিকার স্বাস্থ্য নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো আইনত অগ্রহণযোগ্য এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এই মামলা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশিকা জারি করেছে এবং গুগলকে আইন মেনে চলার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি শুধু আরাধ্যা বচ্চনকেই নয়, সবার জন্যই একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়াবে, যেখানে সামাজিক এবং ডিজিটাল মাধ্যমগুলিতে সঠিক তথ্য প্রচারের গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে।
উলেখ্য, আরাধ্যার মতো তারকা পরিবারের সন্তানদের জন্য, অনলাইনে এই ধরনের মিথ্যা খবর ছড়ানো একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, আদালতের মাধ্যমে তিনি যে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে অনেকেই আশাবাদী যে, এমন মিথ্যা সংবাদ প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এটি স্পষ্ট, যে কোনও ব্যক্তি বা পরিবারের সদস্যকে অযাচিত এবং ভুল তথ্য থেকে রক্ষা করা প্রয়োজন, বিশেষ করে যখন বিষয়টি শিশুদের সম্মান এবং সুরক্ষা সম্পর্কিত।