প্রত্যাশা থাকলেও, পরীক্ষাপর্বেই চুরমার ধনকুবের ইলন মাস্কের রকেট। তাঁর সংস্থা SpaceX-এর (SpaceX Starship) তৈরি এই সময়ের বৃহত্তম তথা সবচেয়ে শক্তিশালী মহাকাশযান মাটি ছাড়তেই চুরমার হয়ে গেল বিস্ফোরণে।
পরিকল্পনা ছিল এই রকেটে করেই মহাকাশচারীদের পাঠাবেন মহাশূন্যে। তাই এদিন পরীক্ষামূলক উড়ান ছিল রকেটির। এই রকেট তৈরিতে খরচ পড়েছিল প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু মাটি ছেড়ে উড়তেই তীব্র বিস্ফোরণে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেল সেটি। তবে দমে যাওয়ার পাত্র নন মাস্ক। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পরবর্তী রকেট নিয়ে পরীক্ষামূলক উড়ানের আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ দিন রেকেট উত্ক্ষেপণের পরই SpaceX-এর তরফে সাফল্যের উদযাপন শুরু হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়া ভেসে যায় অভিনন্দনবার্তায়। সংস্থার তরফেও সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্সাহ, আনন্দ প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তার কয়েক মুহূর্ত পরই দুঃসংবাদ পাওয়া যায়। পরীক্ষামূলক উড়ানের সময় ওই রকেটে কোনও যাত্রী বা কর্মী ছিলেন না। তাই সৌভাগ্যক্রমে এড়ানো গিয়েছে প্রাণহানি। দক্ষিণ টেক্সাস থেকে সেটির উত্ক্ষেপণ হয়। তার পর চার মিনিটও কাটেনি, মহাকাশ যানন থেকে অত্যধিক ভারী ওজনের বুস্টারটি পৃথক হওয়ার সময় আসে। তখনই বিপত্তি ঘটে। তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে মাঝ আকাশে। তাতেই সুবৃহত্ মহাকাশযানটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তীব্র গতিতে ওই ধ্বংসাবশেষ মাটির দিকে নেমে আসতে থাকে। তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। তবে মাটিতে আছড়ে পড়ার আগে, মাঝ আকাশেই সবকিছু ছাই হয়ে যায়।
উড়ানের সাফল্য নিয়ে যদিও শুরু থেকেই সন্দিহান ছিলেন মাস্ক। গতমাসেই তিনি জানান, উড়ানের পর মহাকাশযানটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৫০ শতাংশ। তবে মাস্কের আশঙ্কা যে সত্য প্রমাণিত হবে, তা আগের মুহূর্তে পর্যন্ত ঠাহর করতে পারেননি কেউ। মাস্কের সংস্থার ওই রকেটটি এ যাবত্ তৈরি হওয়া বাকি সব রকেটের তুলনায় উচ্চতম ছিল। প্রায় ৪০ তলা বিল্ডিংয়ের সমান ছিল এর উচ্চতা। SpaceX-এর দাবি, লঞ্চপ্যাড থেকে মহাকাশযানটিকে তোলাই সবচেয়ে বড় চ্য়ালেঞ্জ ছিল। সে ক্ষেত্রে সাফল্য মিলেছে। তাই বিস্ফোরণের পরও সংস্থার কর্মীদের অভিনন্দন জানান মাস্ক।