রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

 গত বছর ২৫শে ডিসেম্বরের আগের চিত্র আর ২৫শে ডিসেম্বরের পরে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের যা চিত্র তাতে রীতিমতো আতঙ্কিত চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ। তার মধ্যেই রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। বাবুঘাটে মেলায় আসা ভক্তদের জন্য প্রতিবারই করা হয় ট্রানজিট ক্যাম্প, এই বছরেও তার অন্যথা হয়নি। ক্যাম্পে আসা মানুষদের ভিড় চিন্তাই ফেলেছে সাধারণ মানুষকে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই কোভিড বিধি মেনে ৩শরা জানুয়ারি বন্ধ হয়েছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, তবে মেলার প্রস্তুতিতে নেই কোন ভ্রূক্ষেপ যা নিয়ে নিন্দার ঝর সর্বত্র।
গত বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় কুম্ভ মেলার কারনে ভয়াল রুপ ধারন করেছিলো করোনা, কুম্ভ মেলা কার্যত সুপার স্প্রেডারে পরিণত হয়েছিল, আর সেই জায়গাতেই ভয় পাচ্ছে রাজ্যের চিকিৎসকমহলের একাংশ। কলকাতা হাইকোর্টে মামালা হয়েছিল আগেই, আর তাতে কার্যত রাজ্যের পক্ষ্যে রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে কঠোর ভাবে কোভিড বিধি মেনে চলার, ইস্নানে জোর দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের কোভিড গ্রাফ কিছুটা হলেও কমেছে, সংখ্যাটা ২০ হাজারের কাছাকাছি, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এতে উৎফুল্ল হবার কিছু নেই, রবিবার ছুটির দিন থাকার কারণে অনেকেই টেস্ট করাতে পারেননি, তাই এই চিত্র। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন প্রায় ৮ হাজারের ওপর মানুষ। 

প্রথম ঢেউয়ে রাজ্যে সর্বোচ্চ করোনা দৈনিক সংখ্যা উঠেছিল ৪ হাজারের ঘরে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ২২ হাজারের ঘরে তবে তৃতীয় ঢেউয়ের শুরুতেই ছবিটা পুরোপুরি আলাদা। করোনার গতি রীতিমতো লাগাম ছাড়া। চিকিৎসকদের মতে এই ঢেউ এখনও চলবে বেশ কিছু সপ্তাহ। তবে অনেকেই দাবি করছেন যত দ্রুত করোনা ছড়িয়ে পড়ছে ঠিক তত দ্রুতই করোনা তার শিখরে পৌঁছবে এবং দ্রুত নিছে নেমে আসবে। অন্যদিকে গতকাল অর্থাৎ ১০ই জানুয়ারি থেকে গোটা দেশে শুরু হয়েছে প্রিকশানারি ডোজ দেওয়ার কাজ, পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে নেয় তাতে। রাজ্যের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একদিনে রাজ্যে প্রিকশানারি ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩ হাজারের ওপর। রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল ২৪ হাজারের ঘরে।

রবিবার টেস্টের হিসাবে রাজ্যে আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে পজিটিভিটি রেট। রাজ্যে বর্তমান পজিটিভিটি রেট ৩৭ শতাংশের ওপরে। অন্যদিকে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে এখন করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি ওমিক্রন আক্রান্ত। ওমিক্রন সাধারণত নাক, মুখ এবং গলায় বেশি সংক্রমণ ঘটায়, ফলে সর্দি কাশি গলা ব্যাথা এবং জ্বরের মতো মৃদু উপসর্গ তৃতীয় ঢেউয়ে বেশি চোখে পড়ছে, দরকার পড়ছে না হাসপাতালে ভর্তি হবার, মৃত্যুর হার আগের তুলনায় অনেকখানি কম। সোমবার রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়েছে পরপর তিন দিন যদি জ্বর না থাকে তাহলে রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর ৭ দিন আইসলেশনে থাকেলই হবে। অনেক চিকিৎসক দাবি করছেন ওমিক্রনকে হালকা ভাবে নেওয়ার দরকার নেই তাতে বিপদ আরও বাড়বে। দুই ধরণের বক্তব্যে কার্যত দিশেহারা সাধারণ মানুষ।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sagarika Chakraborty

Related News