করোনার আবহে বড়দিনে জনসমাগমে সিঁদুরে মেঘ দেখেছিল, বর্ষ বরণের রাতেও বিরাট জনসমাগম হবে বিভিন্ন ক্লাব, রেস্তোরাঁ, পাবে। তাই করোনা এক ধাক্কায় বেড়ে যেতে পারে। তাই মাস্ক বাধ্যতামূলক করার পথে হাঁটতে পারে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখনও উদ্বেগজনক নয়।
ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। ভারতের কিছু রাজ্যে আগাম সতর্কতা জারি হয়েছে। ভিড়ের মধ্যে এবং উৎসব-অনুষ্ঠানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কিন্তু সেই পথে পশ্চিমবঙ্গ এখনও হাঁটছে না কেন? এই প্রশ্নই তুলছেন চিকিৎসকদের একাংশ। যেখানে ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭-এর সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা মারাত্মক । এবং করোনা থেকে বাঁচতে মাস্ক যে প্রধান হাতিয়ার সেখানে সরকারের তরফে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে কেন দোলাচল?
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের জানানো হয়েছে, ‘কেন্দ্রের তরফে করোনা বিধি মেনে চলার জন্য আবেদন করা হয়েছে, কিন্তু এখনও কোন কিছু বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। করোনা বিধি কখনই প্রত্যাহার করা হয়নি, মানুষকে নিজে থেকে সচেতন হতে হবে’। রাজ্যে যেহেতু দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০-এর উপরে উঠছে না, তাই পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক, এখনই তা বলা যাচ্ছে না। আর নিয়মিত রাজ্য বৈঠক করে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। দৈনিক আক্রান্তের ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করলে অবশ্যই মাস্ক এবং অন্যান্য বিধি বাধ্যতামূলক করা হবে।
চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান-সহ কয়েকটি দেশে বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্ট দাপাদাপি শুরু হবার পরেই নড়ে বসেছে ভারত। প্রথম থেকেই করোনা সংক্রমণ আটকাতে কর্নাটক, পঞ্জাব, হিমাচলপ্রদেশ-সহ আরও এক-দু’টি রাজ্যে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, ‘বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলা রয়েছে। শীতে বিভিন্ন জায়গায় মেলা ও নানাবিধ অনুষ্ঠান লেগে থাকে। কোনও কিছুতেই বাধা দেওয়া যাচ্ছে না। করোনা ভাইরাস নাক দিয়েই শরীরে প্রবেশ করে, তাই মুখ ও নাক ঢাকা থাকলে বিপদ অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব। মাস্কের ব্যবহার প্রথম থেকেই বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন বলে মনে করছে চিকিৎসকরা।