কলকাতা স্টেশন থেকে পূর্ব ভারতের প্রথম 'ভারত গৌরব' ট্রেন চালাবে আইআরসিটিসি। আগামী ২০ মে কলকাতা থেকে ছেড়ে ওই ট্রেন দক্ষিণ ভারতের অন্যতম পাঁচটি প্রধান শৈব তীর্থক্ষেত্র ছাড়াও স্ট্যাচু অব ইউনিটি, শিরিডি-র সাঁইবাবার মন্দির এবং শনি সিঙ্গাপুর হয়ে কলকাতা স্টেশনে ফিরে আসবে। সারা দেশের নিরিখে এই ট্রেন সপ্তম ভারত গৌরব ট্রেন।
এই বিশেষ ট্যুরিস্ট ট্রেনটি পাঁচটি জ্যোতির্লিঙ্গ ওঙ্কারেশ্বর, মহাকালেশ্বর, সোমনাথ, নাগেশ্বর, ত্রম্বকেশ্বর সহ স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, শিরডি সাই বাবা ও শনি শিংনাপুর দর্শন করাবে। আগামী ২০ মে কলকাতা স্টেশন থেকে এই ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে। আইআরসিটিসি জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ এবং ‘দেখ আপনা দেশ’ প্রকল্প রূপায়ণের জন্য এই ট্রেনটি চালু করা হচ্ছে। এই ট্রেনের জন্য ভাড়ায় প্রায় ৩৩ শতাংশ ছাড় মিলবে বলে আইআরসিটিসি জানিয়েছে।
রেল সূত্রের খবর, 'এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত' এবং 'দেখো আপনা দেশ' প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ধর্মীয় তীর্থক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে এই পর্যটন পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর আগে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা, নেপালের জনকপুরের মতো রামায়ণে উল্লিখিত তীর্থক্ষেত্রগুলিকে কেন্দ্র করে দেশের অন্যান্য শহর থেকে ওই ট্রেন চালানো হয়েছে। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পর্যটনকে উত্সাহ দিতেই এই উদ্যোগ।
সম্পূর্ন ট্রেনটি তিনটি বিভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। ৩১৫টি সিট সহ ইকোনমি অর্থাৎ স্লিপার ক্লাস, ২৯৭টি সিট সহ স্ট্যান্ডার্ড অর্থাৎ এসি থ্রি টায়ার এবং ৪৪টি সিট সহ কমফোর্ট অর্থাৎ এসি টু টায়ারের সুবিধা থাকছে। ইকোনমি ক্লাসে নন-এসি বাজেটের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা আছে। স্ট্যান্ডার্ড এবং কমফোর্ট বিভাগে এসি হোটেলে থাকা যাবে। ইকোনমি ক্লাসে ভাড়া জনপ্রতি ২০ হাজার ৬০ টাকা, স্ট্যান্ডার্ড ক্লাসের ভাড়া জনপ্রতি ৩১ হাজার ৮০০ টাকা এবং কমফোর্ট ক্লাসের ভাড়া ৪১ হাজার ৬০০ টাকা।
আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি অনলাইন প্যাকেজ বুক করা যাবে পেটিএম কিংবা রেজার পে দিয়ে। ইএমআই-এর সুবিধাও থাকবে বলে খবর। এছাড়াও থাকছে ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বুকিং করা যাবে।