গরমে পাহাড়ে ট্রেকিং আর সুন্দর ঠান্ডা পরিবেশে প্রকৃতির কোলে ঘুরে আসার ইচ্ছে হচ্ছে? কিন্তু মানুষের ভিড়ে বুঝতে পারছেন না ঠিক কোথায় যাবেন? সে ক্ষেত্রে এবার আপনার গন্তব্য হতেই পারে কালোপোখরি লেক। পাশেই রয়েছে কালাপোখরি গ্রাম। পাহাড়ের ৩১৮৬ মিটার উচ্চতায় ছোট্ট জলাশয়।
মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু যাওয়ার রুটে পরে এই কালোপোখরি লেক বা কালাপোখরি লেক।
যারা ট্রেকিং করতে ভালোবাসেন তারা বরাবরই এই রুটটি পছন্দ করেন। যাওয়ার পথে অনেকেই একবার জলাশয়ের সামনে এসে দাঁড়ান। লেকের নাম কালোপোখরি লেক।। সান্দাকফু যাওয়ার পথে এই লেকটি পড়ে। গৈরীবাস থেকে যারা সান্দাকফু যান তারাও এই লেকটিকে দেখতে পান।
এই লেকের সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা কাহিনি। তার জেরেই লেকের প্রতি পর্যটকদের আলাদা আকর্ষণ। আসলে কালাপোখরি একটি নেপালি শব্দ। ব্ল্য়াক লেক বা ডার্ক লেক অর্থে ব্যবহার করা হয় এই শব্দটি। অনেকের ধারণা এই লেকের জল কৃষ্ণ বর্ণ। কিন্তু পর্যটকদের একাংশের মতে, ব্যাপারটা তেমন নয়। এই লেকের জল অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন। দূষণের লেশ মাত্র নেই। পাহাড়ের ছায়া পড়ে লেকে।অনেকেই এই লেকের জলকে পবিত্র বলে মনে করেন। সেই বিশ্বাস থেকেও এই লেকের সামনে এসে মনের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন অনেকে।
স্থানীয়দের বিশ্বাস এই লেকের জলে নাকি এক বিরাট কালনাগ বাস করে। আসলে সবটাই বিশ্বাস। প্রাচীন নানা লোককথা জড়িয়ে আছে এই লেকের সঙ্গে। তবে এই কাহিনির কোন বাস্তবতা আছে কিনা তা জানা যায় না। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে এই লোককথা মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। এই লোককথাই বার বার পর্যটকদের টেনে নিয়ে যায় এই লেকের সামনে।
বছরভর এই লেকে জল থাকে। দার্জিলিংয়ের সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল ফরেস্টের মধ্যে রয়েছে এই লেক।কেউ সেখানে যান আধ্যাত্মিকতার সন্ধানে।কেউ আবার যার প্রকৃতির টানে। তবে যার টানেই আপনি যান না কেন মন ভরে যাবে এটা বলাই যায়।
এনজেপি, বাগডোগরা বা শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় থেকে সরাসরি গাড়িতে মানেভঞ্জন যাওয়া যায়। শেয়ার গাড়িতেও যাওয়া যায় মানেভঞ্জন। অন্যদিকে কোলোপোখরি লেককে কেন্দ্র করে কিছু হোমস্টে গড়ে উঠেছে। সেখানে আগে থেকে বুক করে যেতে পারেন। তবে শীতকালে এখানে তাপমাত্রা ২ডিগ্রিতে নেমে যায়। গরমকালে সমতল যখন ফুটছে তখনও এখানে সোয়েটার পরতে হয়। তবে এখানে যেতে গেলে গাইড নিয়ে যাওয়াটাই ভালো। মানেভঞ্জনে গাইডের খোঁজ পাবেন।