#Pravati Sangbad Digital Desk:
কাঁচা হলুদ খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। কাঁচা হলুদ রক্ত পরিষ্কার রাখে এবং সেই সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আবার করোনা প্রতিরোধেও হলুদের ভূমিকা রয়েছে। হলুদে যে কারকিউমিন রয়েছে তার অনেক গুণাগুণ আছে। তবে ঝাঁঝালো এই হলুদ কীভাবে শুধু খাওয়া যায় এইটাই প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। হলুদ কীভাবে খাব? চিকিত্সক বলছেন, দুধ দিয়েই খেতে হবে হলুদ। কারণ হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিনকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারে দুধ। জল বা গুড়ের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেরে কারকিউমিনের অনেকটা শোষিত হয় না। এছাড়া গোলমরিচের সঙ্গে বেটে হলুদ খাওয়া যায়। কারণ, গোলমরিচে আছে পিপারিন। তা কারমিউমিনের কার্যক্ষমতা প্রায় ২০০০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। গুঁড়ো হলুদ খাওয়া যায়? গুঁড়ো হলুদ একেবারেই নয়। কারণ, এতে ভেজাল হিসেবে থাকতে পারে বিষাক্ত মেটালিন হলুদ রং, বার্লি, ময়দা ইত্যাদি। ফলে কাঁচা হলুদই খেতে হবে। প্রথমে ভাল ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তার পরে তা শুকিয়ে নিয়ে টুরকো করেও খাওয়া যায়, অথবা বেটে নেওয়া যায়। দিনে কতটুকু? বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৫০০-১০০০ হলুদ খেলে ভাল। তবে এক বারে ২৫০ মিলিগ্রাম হলুদই যথেষ্ট। সকালে ও রাতে দু'বেলা ২৫০ মিলিগ্রাম করে খাওয়া যেতে পারে। সকালে খালিপেটে হলুদ খেতে পারেন। আবার রাতে ঘুমোনোর আগে হলুদ-দুধ খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখুন যেন বেশি না খেয়ে ফেলেন। তাতে ক্ষতি হতে পারে। বেশি হলুদের কী ক্ষতি? হলুদ রক্ত পাতলা রাখে বলে গর্ভাবস্থায় খুব বেশি না খাওয়াই ভাল। যাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা আছে, তারাও বুঝেশুনে খাবেন। হলুদে ২ শতাংশ অক্সালেট আছে। যার প্রভাবে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Ashapurna Das Adhikary