ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করছেন? ভুলেও চিনি যুক্ত খাবার খাবেন না। কিন্তু মিষ্টি খেতে ইচ্ছা গেলে কী করবেন? এক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন খেজুরের উপর। খেজুর কীভাবে ওজন কমায়, চলুন জেনে নেওয়া যায়।
খেজুর নিজের গুণাবলীতে হার মানিয়ে দিতে পারে যেকোনো টাটকা ফল কে। ড্রাই ফুড এর মধ্যে অন্যতম হলো খেজুর। এই ফোনের মধ্যে আপনি পেয়ে যাবেন প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট। এবং প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুর মধ্যে পাবেন ২৭৭ ক্যালরি, ৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৭ গ্রাম ফাইবার, ২ গ্রাম প্রোটিন। তাই প্রত্যেক দিন আপনার খাবারের তালিকায় রাখা উচিত তিনটি করে খেজুর। যা আপনাকে আপনার শরীরের বেশ কিছু সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
খেজুরে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ও ভিটামিন সিক্স। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে আপনার শরীরে ফাইবার এর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে খেজুর। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী। প্রতিদিন খেজুর খেলে দূর হবে শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য।
খেজুরে থাকা ফাইবার রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে সাহায্য করে। ফাইবার হজমে সাহায্য করে। এই কারণেই খেজুর রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি কে রোধ করে। এই জন্য খেজুরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। খেজুরে প্রাকৃতিক মিষ্টি থাকার কারণে চিনির পরিবর্তে খেজুর খেতে পারবেন, যা অনেকখানি স্বাস্থ্যকর।
কেন খাবেন খেজুর?
১) খেজুর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। কাজেই যাঁদের রক্তের হিমগ্লোবিনের মাত্রা কম রয়েছে, তাঁরা খেজুর খান। খেজুর থেকে রক্তাল্পতার রোগীদের শারীরিক শক্তিও বাড়বে।
২) খেজুর শরীরে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণে সহায়তা করে, যার ফলে রাতে ভাল ঘুম হয়। তাই অনিদ্রাজনিত সমস্যা এড়াতে নিয়মিত খেজুর খান।
৩) শরীরে কোনও সংক্রমণ হলে তার থেকেও প্রতিরোধ করতে পারে খেজুর। যাদের অ্যালার্জির ধাত রয়েছে, তাঁরা খেজুর খেলে উপকার পাবেন।
৪) খেজুরে শর্করার পরিমাণ ভাল থাকায় শরীরচর্চার ক্লান্তি ঝরাতেও সাহায্য করে এটি। সবচেয়ে সুবিধের বিষয় হল খেজুর খেলে ওজন বাড়ে না। তাই শরীরচর্চার ক্লান্তি কাটাতে খেতেই পারেন খেজুর।
৫) খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার থাকায় বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কম হয়।