রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল গার্ডেনের নাম পরিবর্তন

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

নতুন নাম পেল রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্যান। রাষ্ট্রপতি ভবনে অবস্থিত মুঘল গার্ডেনের নাম বদলে এখন 'অমৃত উদ্যান' করা হয়েছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি নাভিকা গুপ্ত বলেন, 'স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্যানকে 'অমৃত উদ্যান' নাম দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।' রাষ্ট্রপতির ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি জানিয়েছেন, এবার থেকে এই উদ্যান রবিবারেও খোলা থাকবে। এই উদ্যানকে আরও বেশি সংখ্যাক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নেওয়া হয়েছে পদক্ষেপ। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য ‘অমৃত উদ্যান’ খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি। পরির্দশনের জন্য মোট ১৭ হাজার ৫০০ টিকিট বিলি করা হবে। এবার প্রথম বিশেষভাবে সক্ষম এবং কৃষকদের জন্যও ‘অমৃত উদ্যান’ খোলা রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাভিকা গুপ্তা।মুঘল গার্ডেনের নাম পরিবর্তনের একটি ছবি সোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। ছবিটিতে ‘অমৃত উদ্যান’ নাম লেখা একটি সাইনবোর্ড রয়েছে। সেই সঙ্গে উদ্যানের সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ‘অমৃত উদ্যান’ দিক নির্দেশনা তৈরি করতে দেখা গেছে পোস্ট হওয়া ছবিতে। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি ভবনের ‘অমৃত উদ্যান’ প্রতি বছর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়ে থাকে।

রাষ্ট্রপতি ভবনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অমৃত উদ্ধান সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে ১৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে এই উদ্যান। এই উদ্যানকে রাষ্ট্রপতি ভবনের আত্মা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুঘল উদ্যান এবং তাজমহলের চারপাশের উদ্ধানগুলির অনুকরণে এই উদ্যান তৈরি করা হয়েছিল। এখানে ভারত ও পারস্যের চিত্রকর্মও ব্যবহার করা হয়েছিল।
স্যার এডউইন লুটিয়েনব্স ১৯১৭ সালের প্রথমের দিকে এই উদ্যান তৈরির জন্য চূড়ান্ত নকসা অনুমোদন করেছিলেন। ১৯২৮ ও ১৯২৯ সালের মধ্যে সেখানে শুধুমাত্র চারা লাগানো হয়েছিল।
ঠিক যেমন রাষ্ট্রপতি ভবন ভারতীয় এবং পশ্চিমী স্থাপত্য শৈলিতে তৈরি, তেমনই স্যার লুটিয়েন্স দুটি ভিন্ন উদ্যানবিদ্যার ঐহিত্যকে একত্রিত করেছিলেন। যেখানে মুঘল এবং ইউরোপীয়ান সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটিয়েছিলেন তিনি। সেখানে রয়েছে হার্বাল গার্ডেন, বনসাই গার্ডেন, সেন্ট্রাল লন, লং গার্ডেন এবং সার্কুলার গার্ডেন।
বিজেপির তরফে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন অমৃতকালে দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। তিনি এনিয়ে টুইটও করেছেন। অন্য বিজেপি নেতারাও সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিজেপি সাংসদ দেবেশ কুমার বলেছেন, দাসত্বের প্রতীক নির্মূল হয়েছে। অমৃতকালে দাসত্বের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে এটি মোদী সরকারের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sampriti Gole

Tags: