পদ্মশ্রী পুরস্কার পেলেন অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

নব্বইয়ের দশকের  সুপার  ডুপারহিট নায়িকা, যার হলুদ শাড়ির বৃষ্টিভেজা নাচ নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। তিনি হলেন রবিনা ট্যান্ডন। কমেডি-অ্যাকশন-ড্রামা সব ধরনের ছবিতেই তিনি ছিলেন সাবলীল। একদিকে একের পর এক হিট সিনেমা রয়েছে রবিনার ঝুলিতে। এবার নয়া পালক যুক্ত হল রবিনার মুকুটে। প্রজাতন্ত্র দিবসে চতুর্থ উচ্চ নাগরিকত্ব পুরস্কার পেলেন অভিনেত্রী অর্থাৎ পদ্মশ্রী পুরস্কার পেলেন বলি অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন।
১৯৯১ সাল থেকে বলিউড কেরিয়ার শুরু করেন রবিনা ট্যান্ডন। 'পাত্থর কে ফুল' ছবি দিয়ে শুরু হয় তাঁর বলিউড জার্নি। ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পায়। ব্লকবাস্টার হিট এই ছবির পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রবিনা ট্যান্ডনকে। এরপর একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। কখনও তাঁকে দেখা গিয়েছে 'লাডলা', 'আন্দাজ আপনা আপনা', 'আতিস', 'মোহরা' ছবিতে। কখনও আবার  তিনি  অভিনয় করেছেন 'ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি', 'দিলওয়ালে', 'ইমতিহান' ছবিতে।  আবার  'খিলাড়িও কা খিলাড়ি', 'রক্ষক', 'জিদ্দি', 'আন্টি নং ওয়ান', 'দুলহে রাজা', 'বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা' মতো রোম্যান্টিক কমেডিতেও অভিনয় করেন।২০০১ সালে তিনি কল্পনা লাজমি পরিচালিত ‘দমন’ ছবিতে একজন নির্যাতনকারীর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। সমালোচক ও দর্শক এই চলচ্চিত্রে তাঁর কাজে বিস্মিত হন এবং প্রশংসা করেন।

পদ্মশ্রী পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, 'এটা সব সময় অসাধারণ একটা অনুভূতি, যখন কারোর কাজের প্রশংসা করে তাঁকে সম্মানিত করা হয়। এই ধরনের সম্মানের সম্মানিত হয়ে অসাধারণ অনুভূতি হচ্ছে। এটা আমার জার্নির স্বীকৃতি বলা যেতে পারে। এই সম্মান আমাকে আরো এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আমার দেশ আমাকে যেভাবে সম্মানিত করলো আমি তাতে আপ্লুত। ধন্যবাদ ভারত'।
প্রসঙ্গত, মুম্বইতেই জন্ম রবিনা ট্যান্ডনের। জুহুর স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। এরপর মুম্বইয়ের মিঠিবাই কলেজে ভর্তি হন।  সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে ,পড়াশোনা শেষ করে ইন্টার্নশিপ করতে করতেই প্রথম ছবির প্রস্তাব পান রবিনা। এক সাক্ষাতকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন যে, 'আমি কখনও ভাবিনি যে অভিনেত্রী হব। জেনেসিস পিআর-এ তখন ইন্টার্নশিপ করছিলাম। প্রহ্লাদ কক্করের সহকারী হিসেবে কাজ করছিলাম। সেই সময় আমার লুক নিয়ে অনেকেই কথা বলতেন। আমার আশেপাশের লোকেরা আমার চেহারার প্রশংসা করতেন। কিন্তু আমাকে প্রথম সুযোগটা  দেন ফোটোগ্রাফার - পরিচালক শান্তনু শোরে। তিনি আমাকে ডেকে বলেছিলেন যে তিনি আমার সঙ্গে কাজ করতে চান। সেই  সময় মডেলরা অভিনয় জগতে আসতেন। আমি ওঁর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিই। প্রহ্লাদ আমাকে বলেছিলেন সে সময় যে, 'কোটি কোটি মানুষ এই একটা অফার পাওয়ার অপেক্ষায় বসে থাকে। আর তুমি এই সুযোগটা পেয়েও তাতে রাজি হচ্ছো না!' তখন আমার মনে হয়েছিল, আমার তো হারানোর কিছু নেই।এরপরই 'পাত্থর কে ফুল' ছবিটা তৈরি হয়।'

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Susmita Das

Tags:

Related News