উসকো-খুসকো চুল, কপালে লাল তিলক,সন্ন্যাসী বেশে অনন্য 'বাঘা যতীন' দেব

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

প্রজাপতির বিপুল সাফল্যের পর এবার দুর্গাপুজোয় আসতে চলেছে দেব অভিনীত ‘বাঘা যতীন'। বীরযোদ্ধা বাঘা যতীনের সংগ্রামী জীবন তুলে ধরা হবে এই ছবিতে। সরস্বতী পুজোর সকালে সোশাল মিডিয়ায় অরুণ রায় পরিচালিত বাঘা যতীন ছবির পোস্টার শেয়ার করলেন অভিনেতা দেব অধিকারী। এক সন্ন্যাসী বেশে হাজির হয়েছেন তিনি। গোটা মুখে সাদা রং, জোরালো দৃষ্টি, কপালে লাল হলুদ রঙের তিলক - দর্শকরা বলছেন সাক্ষাত্‍ মহাকালের ভক্ত মনে হচ্ছে তাঁকে। দাঁড়ি, গোঁফ, মাথায় উস্কোখুস্কো বড় চুল - চরিত্রের প্রয়োজনে নিজেকে পাল্টে ফেলেছেন দেব। অভিনেতাকে এহেন লুকে দেখে ভাষা হারিয়েছেন তাঁর ভক্তরা। ছবিতে ফুটে উঠবে ভারতের এক অপ্রতিরোধ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর কাহিনী। পোষ্টার শেয়ার করেই দেব লিখলেন…

'অজস্র কঠিন লড়াইয়ের পর দুশো বছরের ইংরেজ শাসন ধুলিস্যাত্‍ করে ভারত পেয়েছিল এক স্বপ্নের স্বাধীনতা। সেইসব লড়াইয়ের ইতিহাসে আমরা পেয়েছি অনেক বীরযোদ্ধা, তাদেরমধ্যে এক অন্যতম সংগ্রামী 'বাঘাযতীন' এর গল্প নিয়ে আমরা আসছি'।
দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে নানান সময় বেশভূষা বদল করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। ব্যতিক্রম নয়, যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় নিজেও। এদিকে, দেবকে এহেন রূপে দেখে চরম চর্চা, মুগ্ধ তাঁর দর্শকরা। বলছেন, 'তুমি দেব না, গুরুদেব'। আবার কেউ বলছেন, 'একের পর এক দারুণ বাংলা ছবি উপহার দিচ্ছ, তোমায় কুর্নিশ'! জানা যাচ্ছে, মেকাপ শিল্পী সোমনাথ কুন্ডু এই রূপ দান করেছেন তাঁকে।
দেবের প্রজাপতি ঘিরে নানা তর্ক-বিতর্কের মাঝেও তা ভীষণভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মানুষ ভালোবেসে হল ভরিয়েছে। তবে এমন ছবির মাঝে বাঘা যতীন কেন? পিরিয়ডিক্যাল ছবি ভালো লাগে তাঁর। সকলেরই জানা প্রয়োজন কে ছিলেন বাঘা যতীন। তাই এমন একটি চরিত্রকেই বেছে নিয়েছেন বড় পর্দায় তুলে ধরতে। সাধারণতন্ত্রের দিন সকালে ছবির পোস্টার শেয়ার করে তিনি লেখেন, “অজস্র কঠিন লড়াইয়ের পর দুশো বছরের ইংরেজ শাসন ধুলিস্যাৎ করে ভারত পেয়েছিল এক স্বপ্নের স্বাধীনতা। সেইসব লড়াইয়ের ইতিহাসে আমরা পেয়েছি অনেক বীরযোদ্ধা, তাদের মধ্যে এক অন্যতম সংগ্রামী "বাঘা যতীন" এর গল্প নিয়ে আমরা আসছি এই পুজোতে।” অভিনেতার পোস্টের পরই ভরে গিয়েছে কমেন্টে। একেবারে অন্যলুকে দেব। উসকো-খুসকো চুল, সারা মুখে যেন ধুলোমাখা, কপালে লাল তিলক। কোঁকড়া চুলের দেবকে হঠাৎ দেখলে যাঁকে চেনা দায়।
এই ছবিতে মানুষ একেবারে অন্য দেবকে দেখতে পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই প্রতিটি চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়। বহুদিন ধরেই এই ছবির জন্য নতুন মুখের সন্ধান করছিলেন অভিনেতা। জানা যায়, প্রায় ন’ হাজার যুবতীর মধ্যে থেকে বাছাই করা হয়েছিল সৃজাকে। একটি সাক্ষাৎকারে দেব জানিয়েছিলেন নতুন মুখ খুঁজে পেতে সোশাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনও দিয়েছিলেন তারা। হাজার হাজার আবেদনের মধ্যে প্রথমে ২০ জনকে বেছে নেওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে বাছাই করে সৃজাকে কাস্ট করা হয় ছবিতে। এই চরিত্রের জন্য সৃজাকেই একেবারে পারফেক্ট মনে হয়েছে তাঁর। দেবের মতো অভিনেতা ও এত বড় সংস্থায় জীবনের প্রথম বড় কাজের সুযোগে রীতিমতো আপ্লুত সৃজা। একেবারে স্বপ্নপূরণ হয়েছে বলেই মত অভিনেত্রীর।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sampriti Gole

Tags:

Related News