ওমিক্রন আটকাতে তৎপর মোদী

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

সামনের নতুন বছর, উৎসবের আমেজে গোটা দেশবাসী। উৎসবের মাঝেই দেশে ক্রমশ বেড়ে চলছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। দেশে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল ডিসেম্বরের শুরুর দিকেই, কিন্ত ইতিমধ্যেই ডবল সেঞ্চুরি হাকিয়ে বসেছে ওমিক্রন। দেশে বর্তমানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৫০ এর কাছাকাছি। অন্য দিকে ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণ এখন কিছুটা হলেও নাগালের মধ্যেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই বলেছিল করোনার এই নতুন প্রজাতি আগের সব প্রজাতির থেকে অনেক বেশী সংক্রামক, সেই আশঙ্কার প্রমাণ মিলল হাতেনাতে, মাত্র ২০ দিনের মধ্যেই ২০০ পার করে ফেলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। ওমিক্রন ভারতে অতিমারির তৃতীয় ঢেউ ডেকে আনতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাই তরিঘরি করে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বৈঠকে বসেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে যেই সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে
 টীকা করণের পরিমান কম সেই সমস্ত অঞ্চলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হবে। এছাড়া যেই সমস্ত অঞ্ল স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দিক থেকে দূর্বল এবং করোনা সংক্রমনের পরিমান বেশি সেই সমস্ত অঞ্চলেও কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হবে। এদিন বৈঠকে রাজ্য সরকার গুলিকে কেন্দ্র সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে ওমিক্রন আটকানোর আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্ত ওমিক্রন আটকাতে আবার লকডাউনের পথে হাঁটবে কিনা তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে জানান হয়নি কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে। তার সাথে কম বয়সিদের টীকা করণ নিয়েও কিছু জানান হয়নি। এর আগেও ওমিক্রন ঠেকানোর জন্য বারবার বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ঝুঁকিপূর্ণ দেশ ফেরত যাত্রীদের ওপর বিশেষ নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সমস্ত বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ গুলিকে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে।

দীর্ঘ দিন ধরে দেশে বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা, বন্ধ ছিল লোকাল ট্রেন। কিন্ত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকেই সমস্ত গণপরিবহন ব্যাবস্থা ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে, আর তার মধ্যেই ওমিক্রন আতঙ্ক। করোনার কবলে দেশের অর্থনীতি থমকে গিয়েছিল, কিন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই আস্তে আস্তে ছন্দে ফিরছে অর্থনীতি, স্বাভাবিক ভাবেই প্রথমেই সরকার যে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেবে না তা বলাই বাহুল্য। পুরোপুরি লকডাউনের পথে না হাঁটলেও বেশিরভাগ রাজ্য কিছু না কিছু কোভিড বিধি আবার আরোপ করেছে।

এদিন বৈঠক শুরুর আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব সমস্ত রাজ্য স্বাস্থ্য সচিবদের সাথে বৈঠক করেন, রাজ্য গুলির কোভিড পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান তিনি। ওমিক্রন রুখতে টেস্ট বাড়ানোর নির্দেশও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। সামনেই বড়দিন আর নতুন বছর, উৎসবে মাতেন অনেকেই কিন্ত রাজ্য গুলিকে নৈশ্য বিধি নিষেধ বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওমিক্রনের কথা মাথায় রেখে সমস্ত হাসপাতাল গুলিকে ওমিক্রন আক্রান্তের জন্য আলাদা ইউনিট খোলার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। তিনি আরও বলেছেন কোনও এলাকাই ১০ শতাংশের বেশি সংক্রমণ হলে সেই স্থানকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। এছাড়া এদিনের বৈঠকে টীকা করণের ওপর জোর দিতেও বলা হয়েছে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sabyasachi Chatterjee

Related News