নিভে গেল জীবনদীপ। চলে গেলেন প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়াও গত বছর ২১ শে ডিসেম্বর তাঁর ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া ধরা পড়ে। ভর্তি ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন নিউমোনিয়া থেকেই দেহে আনুষঙ্গিক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল শিল্পীর। সোমবার রাতেই বাড়ি নিয়ে আসা হয় শিল্পীকে। বাড়ি থেকেই শিল্পীর চিকিৎসা চলবে এমনটাই সিদ্ধান্ত হয় পরিবারের তরফে। কিন্তু, মঙ্গলবার ভোর চারটে নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই শিল্পী।
দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। গতমাসে আচমকাই ঠান্ডা লেগে যায় বৃদ্ধা সুমিত্রা সেনের। চিকিত্সায় তাঁর ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া ধরা পড়ে। চিকিত্সকরা জানিয়েছিলেন, নিউমোনিয়া থেকেই জটিলতা তৈরি হয়। হাসপাতালে ভর্তি করার পরেও শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনকই ছিল শিল্পীর।
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রার দুই মেয়েও বাংলা সঙ্গীত দুনিয়ায় ছাপ ফেলেছেন। তাঁর বড় মেয়ে বিশিষ্ট শিল্পী ইন্দ্রাণী সেন। ছোট মেয়ে শ্রাবণী সেনও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। শ্রাবণী সেন জানিয়েছিলেন, জ্বরের পাশাপাশি বুকে সর্দি বসে যায় তাঁর মায়ের। শুরু হয় শ্বাসকষ্টও। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় মাকে ভর্তি করেন হাসপাতালে। কিন্তু সঙ্কট কাটেনি। জানা গিয়েছিল, রাইলস টিউব দিয়ে খাওয়াতে হচ্ছিল তাঁকে। হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এনে তাঁর চিকিত্সা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল। এই বছর মার্চেই ৯০ বছরে পা দিতেন বিশিষ্ট শিল্পী সুমিত্রা সেন।
রবীন্দ্রসঙ্গীতের জগতে সুমিত্রা শুধু পরিচিত নন একজন কিংবদন্তি বললেও মোটেই বেশি বলা হয় না ৷
রবীন্দ্রসঙ্গীতের জগতে সুমিত্রা সেন একটি অতি পরিচিত নাম ৷ 'ওলো সই ওলো সই', 'সখী ভাবনা কাহারে বলে' কিংবা 'মধুর মধুর ধ্বনি বাজে'-এর মতো একাধিক রবীন্দ্রসঙ্গীতের ক্ষেত্রে তাঁর কণ্ঠ আজও শ্রোতাদের কানে অমর ৷ 2011 সালে রবীন্দ্র সদনের দায়িত্ব পান তিনি ।