হিমাচলে কংগ্রেসের তুমুল জয়ের পর কে হতে চলেছে নতুন মুখ্যমন্ত্রী? শুরু জোর তরজা

banner

#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:

গত বুধ আর বৃহস্পতিবারের অপেক্ষায় ছিল গোটা দেশ। অবশেষে সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গুজরাতে ফের ইতিহাস গড়া পথে বিজেপি। অন্যদিকে বিজেপিকে সরিয়ে হিমাচল প্রদেশের কুর্সি দখল করল কংগ্রেস। প্রথম দিন অর্থাৎ বুধবার ছিল দিল্লি পুরসভা নির্বাচনের ফলঘোষণা। দিল্লি পুরসভায় ক্ষমতায় এসেছে আপ। ১৫ বছর পর দিল্লি পুরসভা বিজেপি-র হাতের বাইরে চলে গেল। গত ১৫ বছর ধরে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বা দিল্লি পুরসভা দখলে রেখেছে বিজেপি। কিন্তু গণনার আগেই বিভিন্ন এক্সিট পোলের ইঙ্গিত ছিল, এবার দিল্লি পুরসভাও আপ-এর দখলেই আসতে চলেছে। দিল্লি পুরসভার ২৫০টি আসনের মধ্যে আপ ১৩৫টি আসনে এবং বিজেপি ১০১টি আসনে জিতেছে। রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস এগিয়ে ১১টি আসনে। দিল্লি পুরসভার ফলাফল বরাবরই রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তাই এই নির্বাচনের ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানী জুড়ে যথেষ্ট রাজনৈতিক উত্তেজনাও শুরু হয়েছিল। কয়েকটি ছোট রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের থেকেও বেশি আর্থিক বাজেট হয় দিল্লি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের। ঐতিহাসিক ভাবে দেখা গিয়েছে, বুথফেরত সমীক্ষা সর্বদা ঠিক হয় না। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই ওই সমীক্ষা মিলে যায়, তাই ভোটপণ্ডিতদের একটি অংশ বুথফেরত সমীক্ষার উপর অনেকটাই ভরসা রাখেন।

পুরসভায় আপের জয় নিশ্চিত হওয়ার পরই দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে আপ-এর সদর দপ্তরে কেজরিওয়াল বলেন, "দিল্লির মানুষ এবার তাদের আবর্জনা সরানোর দায়িত্ব দিয়েছেন। পুরসভার স্কুলের মান বাড়ানোর দায়িত্ব দিয়েছেন। পুর প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করার ভার দিয়েছেন। তারা সেটা করে দেখাবেন"। গুজরাট - হিমাচলের ফল ঘোষণার আগে কয়েকটি বুথফেরত সমীক্ষায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বিজেপি-কংগ্রেস সমান সমান হওয়ার ইঙ্গিতও মিলেছিল। ভোট ফলাফলের দিন মোদী বলেছিলেন, "নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলাম নরেন্দ্রর রেকর্ড ভাঙবে ভূপেন্দ্র। সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন গুজরাটের মানুষ। রাজ্যের ইতিহাসে বৃহত্তম জনাদেশ। নতুন ইতিহাস তৈরি করেছেন মানুষ। আড়াই দশক সরকারে থেকেও এই ধরনের ভালবাসা অভূতপূর্ব। জাতি-সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বে উঠে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন"। তিনি আরও বলেন, হিমাচলে ১ শতাংশের কম ভোটে হেরেছে বিজেপি। অর্থাৎ বিজেপিকে জেতানোর চেষ্টা করেছে জনতা। তাই হেরে গেলেও একশো শতাংশ উন্নয়ন করবে কেন্দ্রীয় সরকার।

উল্লেখ্য, বিজেপিকে সরিয়ে হিমাচল প্রদেশের কুর্সি দখল করেছে কংগ্রেস। ৬৮ আসন-বিশ্চিষ্ট হিমাচল বিধানসভায় কংগ্রেসের ঝুলিতে এসেছে ৪০ টি আসন। অর্থাৎ কংগ্রেস এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি জিতেছে ২৫ টি আসনে। প্রাপ্ত ভোটের হার ৪৩.৯ শতাংশ। তিনটি আসন পেয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। অন্যদিকে গুজরাটে রেকর্ড গড়েছে বিজেপি। ১৮২ আসন বিশিষ্ট গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে এবারও জয়ী বিজেপি। ১৮২ আসনের গুজরাট বিধানসভায় ১৫৬ আসন নিজেদের দখলে রেখেছে তারা। একই সঙ্গে পরপর সাত বার সরকার গড়ার রেকর্ডও স্পর্শ করেছে পদ্মশিবির। এর আগে বাংলায় বামেদের পরপর সাত বার জিতে সরকার গঠনের রেকর্ড ছিল। বৃহস্পতিবার সেই রেকর্ডে ভাগ বসাল বিজেপিও। এবার দেখার বিষয় কে হতে চলেছে নতুন মুখ্যমন্ত্রী? শুরু জোর তরজা। নতুন সরকার গঠনের বিষয়ে শুক্রবার সিমলায় নবনির্বাচিত বিধায়কদের নিয়ে এক বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে হিমাচল কংগ্রেসের দায়িত্বে থাকা রাজীব শুক্লা এবং ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল সহ হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডাও উপস্থিত থাকবেন। উক্ত বৈঠকে এই বৈঠকে নতুন সরকার গঠন থেকে শুরু করে রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়েও আলোচনা হবে। অনেকের মতে, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে রাজ্য সভাপতি প্রতিভা সিং-এর নাম। প্রতিভা সিং হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসন থেকে লড়েছেন। হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের তুমুল জয়ের পর এবার রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে মহড়া জোরদার হয়েছে। কংগ্রেসে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার অনেকেই, তাদের মধ্যে থেকে কে বসবেন কুর্সিকে এখন সেটাই দেখার।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Puja Adhikary

Related News