সপ্তমবারের জন্য ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে BJP? ১৫৫ আসনে এগিয়ে বিজেপি

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে BJP? আপাতত বিধানসভা ভোটের ফল প্রাথমিক পর্যায়ে তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। গুজরাটে বৃহস্পতিবার গণনা শুরু থেকেই এগিয়ে অনেকটাই পদ্ম-শিবির। তাই সপ্তমবারের জন্য গুজরাটে ফের বিজেপি আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এখনও পর্যন্ত ১৫৫টি কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে মোদী-শাহর দল। ১৫ আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। পরে যদিও মোড় ঘুরতে পারে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল AAP প্রথমবার ভোটে লড়েই এগিয়ে রয়েছে ৯টি আসনে। অন্যদিকে মাত্র ২১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। প্রাথমিক ফলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, ২০১৭-র তুলনায় এবার কংগ্রেসের ফলাফল আরও খারাপ হবে। ২০১৭-য় গুজরাটে কংগ্রেস ৭৭টি আসন জিতেছিল। উল্লেখ্য, এই খবর প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত ১৮২ আসনের গুজরাট বিধানসভার ম্যাজিক ফিগার ৯২। এই ট্রেন্ড শেষপর্যন্ত ধরে রাখতে পারলে BJP সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করবে গুজরাটে।

এখন প্রশ্ন একটাই, এবার BJP কী ভেঙে দিতে পারবে ৩৭ বছর আগের রেকর্ড? ১৯৮৫ সালে গুজরাট বিধানসভায় কংগ্রেসের মাধবসিং সোলাঙ্কি ১৪৯ আসন জিতে সরকার তৈরি করেছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ক্ষত্রিয়-হরিজন-আদিবাসী-মুসলিম সম্প্রদায়ের সমর্থক একজোট করে সেই রেকর্ড দাঁড়িয়েছিল। তবে, তারপর গুজরাটে পতিদারদের সমর্থন অনেকাংশে বিজেপির দিকে চলে যায়। তবে, গত ২৭ বছর গুজরাটে বিজেপি ক্ষমতায় থাকলেও ১৯৮৫ সালের কংগ্রেসের রেকর্ড এখনও ভাঙতে পারেনি BJP। তবে এবার বিজেপি সেই রেকর্ড ভেঙেই ফেলেছে। গুজরাতে এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। তিনি ঘাটলোদিয়ার বিজেপি-র প্রার্থী। এগিয়ে রয়েছেন ২৩ হাজার ৭১৩ ভোটে।  

শেষ পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, গুজরাতে ১৪৯ আসনে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস এগিয়ে ১৮টি আসনে। চলছে ভোটগণনা। গণনার শুরুতেই ৯৯ আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি। তাতেই উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে গান্ধীনগরে। উৎসবে মেতে বিজেপি। অন্যদিকে হিমাচলপ্রদেশে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস এগিয়ে ৩৩টি আসনে। ৩১টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। ম্যাজিক সংখ্যা ৩৫। ১৩ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। নির্দল প্রার্থীরা এগিয়ে দুই আসনে। এদিন হার্দিক পটেল জানান, "কাজের উপর নির্ভর করেই চলছে সরকার। গত ২০ বছরে কোনও দাঙ্গা, সন্ত্রাস হামলা হয়নি। বিজেপি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করেছে। পদ্মের বোতাম টিপলে ভবিষ্যৎ নিরাপদ"।

উল্লেখ্য, গুজরাতে চলতি মাসের ১ এবং ৫ ডিসেম্বর দুই দফায় ভোটগ্রহণ হয়। হিমাচলপ্রদেশে ভোটগ্রহণ হয় তারও আগে, ১২ নভম্বর। তবে এই নির্বাচনী সময় নিয়ে যদিও শুরু থেকেই বিবাদ ছিল। এদিন একসঙ্গে ফলঘোষণা হলেও, ভোটগ্রহণ কেন একসঙ্গে হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বিজেপি নিজেদের ধরে রাখতে চেষ্টায় যদিও কোনও ত্রুটি রাখেনি। গুজরাত এবং হিমাচল, দুই রাজ্যেই মোদি, শাহ, জেপি নাড্ডা-সহ দলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা সকলেই দফায় দফায় প্রচার চালিয়েছেন দলের হয়ে। সাথে তাঁরা ঘোষণা করেছেন একাধিক জনমোহিনী প্রকল্পের। কিন্তু গুজরাতের মোরবিতে ঝুলন্ত সেতু বিপর্যয় নির্বাচনের ঠিক আগে অস্বস্তিতে ফেলে দেয় বিজেপি-কে। বিরোধীরা সেতু ছিঁড়ে পড়ে শিশু-সহ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে সরকারি দুর্নীতি এবং কারচুপিকে। ওঠে নানান প্রশ্ন, কেন ঘড়ি তৈরির সংস্থাকে কোন যুক্তিতে সেতু তৈরির বরাত দেওয়া হল, স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়াই কেন খুলে দেওয়া হল সেতু, নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে কেন বেশি লোক তোলা হল, সংস্থার মালিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করে, কেন খেটে খাওয়া টিকিট বিক্রেতা, নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করা হল!

জানা যাচ্ছে, খামবালিয়া কেন্দ্রে এগিয়ে ১৮ হাজার ৯৯৮ ভোটে আপের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইসুদান গাদভি। পাশাপাশি গুজরাটে বাড়ছে আম আদমি পার্টির আসনসংখ্যা।  বর্তমানে ৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে আম আদমি পার্টি।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Puja Adhikary

Related News