চর্মরোগ বা ত্বকের সমস্যা হলে চিকিৎসা তো করতেই হবে, তবে সাধারণ কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে এবং সহজ কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা গেলে চর্মরোগ থেকে আগেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। গ্লিসারিন ত্বকের জন্য ময়শ্চারাইজার হিসেবে সেরা৷ নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হাইড্রেটেড থাকে৷ আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি ত্বককে তরতাজা রাখে গ্লিসারিন৷ শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থাকলে গ্লিসারিন আপনার সমস্যার আদর্শ সমাধান হতে পারে৷
১। ত্বক ভালো রাখতে প্রচুর ফল ও সবজি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা উচিত।
২। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। এতে শরীরের ভিতর থেকে চামড়ার আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
৩। শীতকালে হালকা গরম পানিতে গোসল করতে বেশ ভালো লাগে। তবে দীর্ঘসময় ধরে ‘হট শাওয়ার’ বা গরম পানিতে গোসল করা উচিত নয়। কারণ, গরম পানি ত্বক শুষ্ক করে ফেলতে পারে।
৪। ত্বকের সুস্থ্যতা ও আর্দ্রতা বজায় রাখতে ভালো মানের ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। গোসলের পরপরই হালকা ভেজা ত্বকে ময়শ্চারাইজার লাগানো উচিত।
৫। ত্বকে যে কোনো ধরনের প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহারের আগে সচেতন হওয়া জরুরী। রাসায়নিক পদার্থসমৃদ্ধ প্রসাধনী এবং অ্যালার্জি তৈরি করে এমন উপাদান সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। প্যারাবিন ও সোডিয়াম লরাইল সালফেট আছে এমন শ্যাম্পু ও সাবান এড়িয়ে চলা উচিত।
৬| আদা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। আদার অনেক গুণ রয়েছে। ত্বকে সাদা দাগ হওয়ার এই সমস্যা থেকে প্রতিকার পাওয়ার জন্য আদার রস খেতে পারেন। এবং দাগ হয়ে যাওয়া জায়গায় আদার রস লাগাতেও পারেন। আদার রস রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে।
৭|ত্বকের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কপারের পাত্রে জল রেখে কালি পেটে সেই জল খান। তবে মনে রাখবেন, এই জল কপারের পাত্রে সারারাত রেখে তবেই খাবেন।
৮। সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় নিজের জন্য সময় বের করাই দুষ্কর। তবে ব্যস্ততার ফাঁকে কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখা উচিত। চাইলে মেডিটেশন বা যোগ ব্যায়াম করা যেতে পারে। কারণ মেডিটেইশন ও যোগ ব্যায়াম পুরো শরীরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
বিভিন্ন কারণে ত্বকে চুলকানি বা চর্মরোগ হতে পারে। তবে কিছুটা সচেতন হলে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে চর্মরোগ থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া যায়। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি, ফল-মূল এবং পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।