Flash news
    No Flash News Today..!!
Friday, May 17, 2024

দার্জিলিং জেলার কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে অবগত হন

banner

#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:

ঊনবিংশ শতাব্দীর সূচনার প্রায় 15 বছর পর 1815 সাল নাগাদ এই দার্জিলিং শহরে মানুষ বসবাস শুরু করেন । ধীরে ধীরে লেপচা শেরপা গোর্খা ভুটিয়া বাঙালি জাতির মানুষ এই শহরে বসতি গড়ে তোলে । তারা কালো চায়ের শংকর উৎপাদন করতে থাকে ও এক বিশেষ ধরনের গাঁজন প্রক্রিয়ার উদ্ভাবনা করেন ও যার ফলে দার্জিলিং চায়ের উদ্ভব ঘটে। যা আন্তর্জাতিক স্তরের মর্যাদা লাভ করে। করোনা আবহে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। ইতিমধ্যে হোটেল এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলি খুলে গিয়েছে। এই পুজোতে করোনা বিধি মেনেউনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ব্রিটিশরা এই এলাকায় একটি স্যানেটরিয়াম ও একটি সামরিক ডিপো স্থাপন করেন।

প্রতিবেশি দেশ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন হয়তো। এবার ভ্রমণ করতে চাইলে যেতে পারেন স্বপ্নের রাজ্য দার্জিলিং। দার্জিলিং, পশ্চিবঙ্গের নান্দনিক টুরিস্ট স্পট। যারা পাহাড় ভালবাসেন মেঘের নানা রং দেখতে আগ্রহী তারা যেতে পারেন দার্জিলিং।

দর্শনীয় স্থান

দার্জিলিংয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু রেলওয়ে স্টেশন। এখানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফুট উঁচু চূড়া থেকে দেখা যায় অপূর্ব সূর্যোদয়। এখানে ভোরবেলা আট হাজার ৩০০ ফুট উঁচু টাইগার হিল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়চূড়ায় সূর্যোদয়ের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। এখানে রয়েছে ঘুম মোনাস্ট্রি। রয়েছে সুন্দর স্মৃতিসৌধ বাতাসিয়া লুপ। রয়েছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা। রয়েছে পাহাড় অভিযান শিক্ষাকেন্দ্র হিমালিয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট। এখানে এসে কেবল কারে ১৬ কিলোমিটার দূরত্বের এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে ভ্রমণ করতে পারেন। চা পানের অপূর্ব অভিজ্ঞতা পাবেন এখানকার হ্যাপি ভ্যালি টি গার্ডেনে। রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত শরণার্থী কেন্দ্র তিব্বতিয়ান সেলফ হেল্প সেন্টার। রয়েছে দার্জিলিং মিউজিয়াম। দেখতে পাবেন বৌদ্ধবিহার জাপানিজ টেম্পল। রয়েছে পাথর কেটে তৈরি রক গার্ডেন ও গঙ্গামায়া পার্ক। রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা পানির ঝর্ণাধারা ভিক্টোরিয়া ফলস। এ ছাড়া রয়েছে পাহাড়ের নয়নাভিরাম দৃশ্য। চাপতে পারবেন টয় ট্রেনে।

উন্নত মানের চা উৎপাদনের জন্য দার্জিলিং শহর টা বেশ জনপ্রিয়। চা প্রেমিকদের কাছে দার্জিলিং বেশ জনপ্রিয় ।

এই দার্জিলিং শহর টি সমস্ত বাঙালির মনে এক নস্টালজিয়া। আমরা ছোট্ট থেকে বিভিন্ন লেখকের গল্পে কিংবা বাড়ির বড়দের মুখে দার্জিলিং শহরের কথা শুনে আসছি প্রতিটি বাঙালি কম বেশি দার্জিলিং নিয়ে জানেন। আর আমার মত ফেলুদা প্রেমিকরা জানেন এখান থেকেই কিন্তু ফেলুদার গোয়েন্দাগীরি শুরু দার্জিলিং জমজমাট দিয়ে ।

টাইগার হিল থেকে 20 মিনিটের পথ, এটি একটিবৌদ্ধ মঠ, কোনো প্রবেশ মুল্য নেই, শান্ত পরিবেশে করুন প্রার্থনা।

দার্জিলিংয়ের বৌদ্ধমট গুলির মধ্যে ঘুম মনাস্ট্রি অন্যতম, এখানে প্রবেশ করতে কোন প্রবেশ মূল্য লাগে না মূলত এখানে বৌদ্ধরা ও হিন্দু পর্যটক রাও প্রার্থনা করে থাকে।

দার্জিলিং চিড়িয়াখানাটি লাল পান্ডা ও স্নো লেপার্ড দের জন্য খুবই বিখ্যাত। এখানে প্রবেশ মূল্য মাথাপিছু 60 টাকা ।

দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানার দুটি ভাগ একটি চিড়িয়াখানা ও অপরটি এই হিমালয়ান মাউন্টেনিং ইনস্টিটিউট এখানে পর্বতারোহীদের সমস্ত রকম প্রশিক্ষণ ও পর্বতারোহন শেখানো হয়। এ ছাড়া আছে তেনজিং নর্গের মূর্তি ও তেনজিং নর্গের সমাধি । মিউজিয়ামের ভিতরে আছে তেনজিং নর্গের ব্যাবহৃত বিভিন্ন জিনিস । এছাড়াও এখানে অ্যাডভেঞ্চার ও পর্বত আরোহণের উপরে এক ঘণ্টার কিছু ভিডিওগ্রাফি দেখানো হয় ।

দার্জিলিংয়ের নেপাল সীমানা ভিউ পয়েন্ট থেকে ভারত ও নেপাল সীমানা দেখা যায় । খুব শান্ত ও নিলিবিলী পরিবেশে পাহাড়ের কোলে বসে বন্ধু প্রতিবেশী দেশের দিকে চেয়ে কাটান কিছুটা সময় ।

দার্জিলিং সেন্ট জোসেফ স্কুল দেখতে এতোটাই সুন্দর এখানে অনকে সিনেমার শুটিং হয়েছে । তার মধ্যে 2014 সালে মুক্তি প্রাপ্ত Yaariyan ছবি টি অন্যতম ।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News