লবঙ্গ চায়ের ১০টি উপকার, যা শুনে অবাক হবেন আপনিও

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

দৈনন্দিন রান্নায় ব্যবহৃত মশলাগুলো কেবল খাবারই সুস্বাদু করে না, এগুলোর বেশ কিছু আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। বেশিরভাগ মশলাই পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে লবঙ্গ এমন একটি মশলা, যা ওজন কমানোর পাশাপাশি ইমিউনিটি বৃদ্ধি, জ্বর ও সর্দি-কাশি সারাতেও দারুণ কার্যকর। লবঙ্গ হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। শুধু লবঙ্গ যেমন ভালো, ঠিক তেমনই লবঙ্গ চা খাওয়াও কিন্তু দারুণ উপকারি। এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন, লবঙ্গ চা পানে স্বাস্থ্যের কী কী উপকার হয় -
লবঙ্গ চা বানানোর প্রক্রিয়া:
প্রথমে পরিমাণ মতো লবঙ্গ নিয়ে বেঁটে নিতে হবে। তারপর সেই লবঙ্গের গুঁড়ো এক কাপ জলে মিশিয়ে কম করে ৫-১০ মিনিট ফোটাতে হবে। যখন দেখবেন জলটা ফুটতে শুরু করেছে, তখন তাতে হাফ চামচ চা পাতা ফেলে দেবেন। আর কিছু সময় অপেক্ষা করে জলটা ছেঁকে নিলেই ব্যাস লবঙ্গ টি রেডি। চিকিত্‍সা বিজ্ঞান নিয়ে যারা চর্চা করেন তাদের মতে প্রতিদিন দুবার করে লবঙ্গ চা খাওয়া শুরু করেল শরীরে প্রবেশ ঘটতে শুরু করে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন কে, ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্য়াঙ্গানিজ সহ আরও একাধিক উপকারি উপাদান, যা নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে।
লবঙ্গ চায়ের নানা উপকার:
১. দেহের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা হ্রাস পায় : নানা কারণে অনেক সময়ই আমাদের শরীরের অন্দরে প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন রেট এতটাই বেড়ে যায় যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের উপর খারাপ প্রভাব পরে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানা রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। আর এমনটা কিন্তু যে কারও সঙ্গে হতে পারে। কিন্তু যদি চান আপনার সঙ্গে না ঘটুক, তাহলে নিয়মিত লবঙ্গ চা খেতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে প্রদাহের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আর কোনও আশঙ্কাই থাকে না।
২. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে : লবঙ্গের অন্দরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ক্যান্সার এজেন্ট। তাই তো প্রতিদিনের ডায়েটে লবঙ্গ চা জায়গা করে নিলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের অন্দরে ক্যান্সার নিরোধক উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে দেহের ইতিউতি ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
৩. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে : সরকারি এবং বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত এক দশকে আমাদের দেশে যে হারে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েছে, তাতে আমাদের দেশ সারা বিশ্বের মধ্যে ডায়াবেটিস ক্যাপিটালে পরিণত হয়েছে। আর সবথেকে ভয়ের বিষয় হল প্রতি বছর নতুন করে এই মারণ রোগে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ৪০ এর নিচে। এমন পরিস্থিতিকে যুব সমাজদের সুস্থ রাখতে পারে একমাত্র লবঙ্গ চা। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে উপস্থিত নিগেরিয়াসিন, শরীরে প্রবেশ করার পর ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাকে এতটাই বাড়ায়ে দেয় যে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগই পায় না। এই শুক্রবার অসাধারণ সুযোগ শেষ হচ্ছে। এখনি কিনুন অনলাইনে ব্র্য়ান্ডেড পোশাকের সম্ভার দেখুন ফ্লিপকার্টে অ্যামাজন ফায়ার টিভি স্টিক দিয়ে সিনেমা, টিভি শো ও গান দেখা শুরু করুন। 
৪. স্ট্রেস লেভেল নিমেষে কমে যায় : ডায়াবেটিসের পর যে সমস্যাটা গত কয়েক বছরে বেশ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তা হল স্ট্রেস। পরিসংখ্যান বলছে আমাদের দেশের যুব সমজারে সিংহভাগই স্ট্রেসের শিকার। আর ভয়ের বিষয় হল যে কটা মারণ রোগ এখন এদেশে দাপাদাপি করছে, তার প্রায় সবকটির সঙ্গেই স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই তো বলি বন্ধু এমন মারণ পরিস্থিতির খপ্পরে পরতে যদি না চান, তাহলে প্রতিদিন লবঙ্গ চা খেতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই পানীয়টির অন্দরে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র "ফিল গুড" হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্ট্রেস লেভেল কমতে একেবারে সময় লাগে না।
৫. চটজলদি আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা কমে : লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ এই ধরনের হাড়ের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে এক কাপ লবঙ্গ চা বানিয়ে কয়েক ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। তারপর সেই ঠান্ডা চা ব্যথা জায়গায় কম করে ২০ মিনিট লাগালে দেখবেন যন্ত্রণা একেবারে কমে গেছে। প্রসঙ্গত, জয়েন্ট পেন কমানোর পাশাপাশি পেশির ব্যথা এবং ফোলা ভাব কমাতেও এই ঘরোয়া ঔষধিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬. জ্বরের চিকিত্‍সায় কাজে আসে : লবঙ্গে থাকা ভিটামিন ই, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে শরীরে উপস্থিত ভাইরাস সব মারা পরে। ফলে ভাইরাল ফিবারের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হয়ে যাওয়ার পর সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।
৭.মাড়ি এবং দাঁতের ব্যথা কমায় : লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা এবং মাড়ি ফোলা থেকে মুক্তি দেয়। লবঙ্গ চা আমাদের মুখ থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও সাহায্য করে, যার ফলে দাঁতের সমস্যা থেকে দ্রুত ত্রাণ পাওয়া যায়।
৮. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে : লাঞ্চ বা ডিনারের আগে লবঙ্গ দিয়ে বানানো এক কাপ গরম গরম চা খেলে হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে পেটের দিকে রক্ত প্রবাহেরও উন্নতি ঘটে। ফলে খাবার হজম হতে সময় লাগে না। তাই যাদের কম ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেলেও বদ-হজম হয়, তারা লবঙ্গ চা পান করে একবার দেখতে পারেন। এমনটা করলে উপকার যে মিলবে, তা হলফ করে বলতে পারি।
৯. নিমেষে করবে সংক্রমণের চিকিত্‍সা : এবার থেকে কোনও ধরনের ত্বকের সংক্রমণ হলেই চোখ বুজে ক্ষতস্থানে লবঙ্গ চা লাগাতে ভুলবেন না। এমনটা করলে দেখবেন কষ্ট কমতে একেবারে সময়ই লাগবে না। আসলে লবঙ্গে উপস্থিত ভোলাটাইল অয়েল শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে জীবাণুদেরও মেরে ফেলে। ফলে সংক্রমণজনিত কষ্ট কমতে একেবারেই সময় লাগে না।
১০. সাইনাস থেকে মুক্তি দেয় : লবঙ্গ চা সাইনাস থেকে মুক্তি দিতে পারে। লবঙ্গে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে, যা আমাদের শরীরকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে বাঁচায়। এই চা জ্বর নিরাময়েও দারুণ কার্যকর।


#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sampriti Gole

Related News