চা নাকি কফি! কোন পানীয় কোন ঋতুর জন্য

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

কলেজের ক্যাম্পাস থেকে রাজনৈতিক আলোচনা কিংবা পরনিন্দা পরচর্চা, এক কাপ চা বা কফি প্রাণ এনে দেয় আড্ডায়। কর্পোরেট সেক্টর যেমন ব্ল্যাক কফি পছন্দ করে, সেখানে আবার বয়স্কদের চা পছন্দের পানীয়। যদিও সারা বছরই চা খাওয়া চলে। আর শীতকাল আসলে মানুষ চায়ের চেয়ে বেশি কফি খেয়ে থাকেন।

     ভারতীয়দের চা ও কফি কতটা পছন্দের তা বলাই বাহুল্য! কিন্তু এই চা ও কফি খাওয়ার একাধিক সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে। তাহলে গরমকালে চা ও কফির মধ্যে কোনটা খাওয়া উচিত? 

    কফি

এক কাপ কফি শুধুমাত্র আমাদের শরীরের তাপমাত্রার হেরফের ঘটায় না, ক্যাফিনের দৈনিক চাহিদাও পূরণ করে। তাই ক্যাফেইন যাঁরা পছন্দ করেন তাঁদের জন্য অবশ্যই কফি সেরা পানীয়। কিন্তু ঠান্ডা কফিতে ক্যাফেইন কম থাকায় তা অনেকের মন নাও ভরাতে পারে। কেন না, এক কাপ গরম কফি চাপ কমাতে কাজ করে এবং মন ভালো করে দেয়। তবে এই গরমে ওজন কমাতে চাইলে দুধ ও ফ্লেভারড কফির পরিবর্তে ব্ল্যাক কফিকেই বেছে নেওয়া ভালো হবে।


চা

চায়ের অনেক উপকারিতা রয়েছে। গ্রীষ্মে গরম চা খেলে শরীরের স্বাভাবিক হোমিওস্ট্যাটিক তাপমাত্রা ঠান্ডা হয়। এটি শুধু শরীরকে রিল্যাক্স করে না, হজমের সমস্যাও কমায়। পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরে পুষ্টি ও খনিজ শোষণ করতে সাহায্য করে, পাশাপাশি তা শরীরকে হাইড্রেট করার জন্যও উপযুক্ত। সেক্ষেত্রে গরম চা যেমন ঠিকঠাক, তেমনই আবার ঠান্ডা চাও মন্দ নয়। বিশেষত, আইসড গ্রিন টি-তে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে না বলে এটি শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।

   কোনটা খাওয়া সঠিক

তাহলে কোনটা খাওয়া সঠিক গরমকালেতাই বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তীব্র গরমে কফির চেয়ে চা খাওয়াই ভালো। কারণ কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীরে তাপমাত্রা বাড়ায় এবং শরীরকে ডিহাইড্রেট করে। চায়ে সঠিক পরিমাণে ক্যাফেইন থাকলেও কফিতে চায়ের থেকে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে। তাছাড়াও এক কাপ চায়ের পুষ্টিগুণ এক কাপ কফির চেয়ে অনেক বেশি। যেমন চায়ের মেটাবলিজম এবং হাইড্রেশনের গুণগুলো কফিতে নেই। পাশাপাশি বাজারচলতি ফ্লেভারড কফিগুলো অত্যন্ত ফ্যাট সমৃদ্ধ এবং ওজন কমাতে চাইলে একেবারেই উপযুক্ত নয়। এক্ষেত্রে আইসড টিও কোল্ড কফির চেয়ে বেশি উপকারী।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Ashapurna Das Adhikary

Related News