সুস্থ থাকতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে রোজ খান গাজর

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

সারা বছরই গাজর পাওয়া যায়। তবে শীতকালে গাজর খাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি লক্ষ করা যায়। কাচাঁ ও রান্না দুভাবেই খাওয়া যায় গাজর, তাই গাজরকে সবজি এবং ফল দুটাই বলা যায়। নানা প্রকার খাদ্য তৈরিতে গাজর ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে তরকারি, ভাঁজা, হালুয়া ও সালাদ হিসেবে গাজর অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে সর্বোচ্চ পুষ্টিগুনের লাভের জন্য কাচা গাজর খাওয়াই সর্বোত্তম। তাই কাঁচা গাজর অথবা গাজরের জুস বানিয়ে খেলেই গাজরের সর্বোচ্চ পুষ্টি উপাদান পাবেন।   অনেকে  যারা গাজরের উপকারিতা  জানেন তারা  গাজরকে  নিয়মিত খাদ্য তালিকায়  রাখেন , কেউ  কেউ  আবার এর উপকারিতা না জানার কারণে তা খাদ্য তালিকা থেকে বাদ রাখেন। কিন্তু গাজরের উপকারিতা জানলে হয়তো নিয়মিতই খাদ্য তালিকায় রাখবেন সবজিটি।অন্যান্য সবজির তুলনায় গাজরকে স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভালো বলে মনে করা হয়, কারণ এতে অন্যান্য খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজ যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। গাজরের ভিটামিন ও মিনারেলস দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,  এবং আমাদের  সুস্বাস্থ্যের  খেয়াল রাখে।গাজর এর ইংরেজি নাম  Carrot এবং বৈজ্ঞানিক নাম Daucus Carota যা একপ্রকার মূল জাতীয় সবজি।
গাজরের উপকারিতা এবং পুষ্টি বার্তাঃ 
•বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কাঁচা গাজর খেলে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এতে থাকা উপকারী উপাদান শরীরে ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্য বজায় রাখে। হঠাৎ হঠাৎ মেজাজ পরিবর্তনের সমস্যা প্রতিরোধ করে। 
•গাজর ক্যারোটিনয়েডে পরিপূর্ণ। নিয়মিত ক্যারোটিনয়েড জাতীয় উপাদান শরীরে প্রবেশ করলে ত্বক সজীব থাকে এবং বার্ধ্যকের ছাপ পড়তে বাধা পায়। এছাড়াও এতে উপস্থিত নানা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে স্বাস্থ্যকর করে তোলে। গাজরে ভিটামিন সি উপস্থিত থাকে তাই গাজরের রস খেলে বা নিয়মিত ট্যানযুক্ত অংশে মাখলে ত্বকের ট্যান কম হয়।
•গর্ভাবস্থায়ও খেতে পারেন গাজর। গর্ভাবস্থায় গাজরের রস পান খুবই উপকারী। এতে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হয় না। যেসব মা শিশুকে দুধপান করান, তাদের নিয়মিত গাজরের রস পান করা উচিত।
•প্রতিদিন গাজরের রস খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, এটি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। যদি কেউ ব্রণ কিংবা অ্যাকনের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য খুবই উপকারী গাজরের রস।
•গাজরে ফাইটোকেমিক্যালস প্রচুর পরিমানে থাকে, যা অ্যান্টি-ক্যান্সারের উপাদান বহন করে।   গাজরে  ক্যারোটিনয়েডগুলি উপস্থিত থাকে বলে  নিয়মিত গাজর  খেলে  পেট, কোলন, ফুসফুস, প্রস্টেট ও মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কম   থাকে ।
•গাজর হজম ক্ষমতা বাড়ায়।  গাজর খেলে দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, বদহজম ইত্যাদি নিরাময় হয়। লিভারের রোগে আক্রান্ত রোগীর গাজরের রস, গাজরের স্যুপ পান করলে উপকার হয়।
•শরীরে ভিটামিন A -র ঘাটতি দেখা দিলে রাতকানা রোগ হতে পারে। গাজরে প্রচুর পরিমানে ভিটামিনA থাকে, যা এই ঘাটতি কম করে উক্ত রোগ সারিয়ে তুলতে পারে। এছাড়া এটি আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খুবই উপকারী।
•গাজর (Carrot) হার্টের জন্য খুব উপকারী বলে ধরা হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের পক্ষে লাভজনক। এর পাশাপাশি গাজরে থাকা পটাশিয়াম ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য় করে।
•গাজর আঁশে পরিপূর্ণ। গবেষণা অনুযায়ী, ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা বেশি পরিমাণে ফাইবার খেলে গ্লুকজ মেটাবলিজম উন্নতি লাভ করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের গাজর খাওয়া আবশ্যক।
•পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ গাজরে ক্যালরি এবং সুগারের পরিমাণ খুবই কম থাকে। এটি খেলে পেট ভরা থাকে বলে ক্যালরিবহুল অন্য খাবার খেতে হয়না। এ ছাড়া গাজর চর্বি কমাতে সাহায্য করে বলে ওজন কমে। তাই ওজন কমাতে বেশি বেশি গাজর খান।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Susmita Das

Tags:

Related News