বাংলা, হিন্দি মিলিয়ে অনেক ভালো ভালো ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া ভাদুড়ী। তবে ভাদুড়ী নয়, বচ্চন পত্নী জয়া বচ্চন বললেও ভুল হবে না। তাঁর জনপ্রিয় সিনেমাগুলোর মধ্যে ' মিলি', 'উপহার', 'কোরা কাগজ', 'অভিমান' প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। অভিনেত্রীর স্বামী খাত্যানামা অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। ছেলে অভিষেক বচ্চনও বলিউড অভিনেতা। এমনকি পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রায় বচ্চনও এক সময়ের বিশ্ব সুন্দরীর তকমা পান, শুধু তাই নয় তিনি একজন বেশ জনপ্রিয় ও বলিপাড়ার সুন্দরী নায়িকা।
তবে ক্যারিয়ার চলাকালীন হঠাৎই সেরমভাবে দেখা মিলল না আর জয়া ভাদুরীর। তাঁর মতে, তিনি কারোর জন্য কোনোকিছু ছেড়ে দেননি। যা করেছেন নিজের ভালো লাগার থেকে করেছেন। তিনি আরো বলেন, তিনি সংসারের জন্য ত্যাগ করেছেন এই কথাট শুনলে তাঁর নিজেরই ভালো লাগে না, বরং বিরক্তি লাগে। নাতনি নব্যা ও মেয়ে শ্বেতার সাথে কিছু ভালো মুহূর্ত নিয়ে আলোচনা করছিলেন। সেই সময় এক প্রবীণ তারকা জানান, তিনি 'ত্যাগ' শব্দটি পছন্দ করেন না।
১৯৭১ সালে ' গুড্ডী ' সিনেমা দিয়ে বলিউডে কাজ শুরু করেন জয়া বচ্চন। বাংলা, হিন্দি মিলিয়ে অনেক ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। ' সিলসিলা ' ছবিতে অভিনয়ের পর তিনি বিরতি নেন সিনেমা থেকে। ২০০০ সালে হৃত্বিক রোশন, করিশ্মা কাপুর অভিনীত ছবি ' ফিজা ' - র মাধ্যমে আবার ফিরে আসেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন। যার মধ্যে অমিতাভ বচ্চনের সাথে 'কভি খুশি কভি গম ' ছবিও ছিল। করণ জোহরের পরিচালনায় ছিল সেই ছবি।
তাঁর এই অভিনয় জগৎ থেকে বিরতি নেওয়াকে অনেকেই ' ত্যাগ ' বলে চিহ্নিত করেন। জয়া ভাদুড়ী বলেন, "আপনি অন্য কারও চিন্তাভাবনা, আবেগ এবং প্রয়োজনীয়তাকে আগে রাখছেন, আপনি যখন আপনার ভেতর থেকে কিছু করেন, তখন সেটা ত্যাগ নয়। আমার মনে আছে যখন আমি কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম এবং সবাই বলেছিল, ‘ওহ তো তাঁর বিয়ে এবং সন্তানদের জন্য নিজের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়েছে,’- এটি কিন্তু এমন ছিল না। আমি একজন মা এবং স্ত্রী হয়ে খুব খুশি ছিলাম। আমি যা করতে পাচ্ছিলাম তাঁর চেয়ে আমি যা করছিলাম, সেটাই বেশি উপভোগ করেছি। এটি মোটেও ত্যাগ ছিল না"।