#Pravati Sangbad Digital Desk:
কিছুদিন আগে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে তৃনমূলের একটি দলীয় কার্যালয় গঠিত হয়। যে ঘরে রবীন্দ্রনাথ প্রথম গান্ধীজির সঙ্গে দেখা করেছিলেন, সেই ঘরই ভাঙা হয়েছিল। ঘরটি ব্যবহার করা হতো না। রবীন্দ্রনাথের ছবি খুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো হয়। বাঙালির ঐতিহ্যের ও আবেগের কবিগুরুর বাসভবনে নিত্য যাতায়াত শুরু হয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। বিষয়টি প্রকাশ্য়ে আসতেই হইচই শুরু হয়ে যায়। সোমবার সেই দলীয় কার্যালয় আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কোনো পরিস্থিতিতেই আদালতের নির্দেশ অমান্য করা যাবে না। নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ে পালন করতে হবে আদেশ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ ডিসেম্বর। আদালত জানিয়েছে, হেরিটেজ ভবনটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। আলাদাভাবে দেখাতে হবে হেরিটেজ ভবনটিকে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে দলীয় কার্যালয় তৈরি নিয়ে বিচারপতির বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়ে রবীন্দ্রভারতী কর্তৃপক্ষ। প্রশ্নে বিচারপতি বলেন হেরিটেজ ভবন না হলেও কেউ কি যে কোনও জায়গায় পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলতে পারে? আর তার পরিপ্রেক্ষিতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি ক্যাম্পাসে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে হেরিটেজ ভবন ভেঙে বানানো হচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয়। সেই অভিযোগে মামলা দায় হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিল আদালত। তৃণমূলের তরফে জানানো হয় যে, আগে সিপিএমের কার্যালয় ছিল এখানে। যদিও তা টেঁকেনি। এদিনের শুনানির প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়েছেন, হেরিটেজ নির..তৃণমূলের তরফে আগে সিপিএমের কার্যালয় ছিল বলে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এদিনের শুনানির প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়েছেন, হেরিটেজ নির্মাণ ভেঙে ফেলা যায় না সহজে। আর যদিও বা সেটা ভাঙ্গা যায় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সেটা পুনরুদ্ধারের কাজও চালাতে হবে। এক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি ছাড়া কোন নতুন ধরনের নির্মাণ করা যাবে না।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Aparna Dutta