ত্বক ও চুলের যত্নে ভাতের মাড় ব্যবহার করুন

banner

# Pravati Sangbad Digital Desk :

ত্বক ও চুলের পরিচর্যা করার জন্য আমরা নিয়মিত পার্লারে ‌যাই, খরচও করি অনেক টাকা। এমন অনেক ঘরোয়া পদ্ধতিই আছে যেগুলি আমরা পার্লারে না গিয়েও ব্যবহার করতে পারি কিংবা নামী দামি প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার না করেও দিব্যি রূপচর্চা করতে পারি। চুলের যত্নে কত কিছুই করে থাকি আমরা। তবে চুলের যত্নে ভাতের মাড়ের ব্যবহার শুনেছেন কখনো। হ্যাঁ চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন ভাতের মাড়। ভাতের মাড় ব্যবহারে চুল দ্রুত লম্বা হয়। এছাড়া ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন ভাতের মাড়। ভাতের মাড় প্রতিদিনই ঝরানো হয়। ফেলে না দিয়ে ত্বক ও চুলের যত্নে কাজে লাগাতে পারেন ভাতের মাড়। কিন্তু কেমন করে ব্যবহার করবেন এই মাড়? স্নান করার সময় সবার আগে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এর পরে, ওই ভাতের ফ্যান বা মাড় ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ১০-১৫ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন। এর পর জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে কমপক্ষে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করুন। কয়েক মাসের মধ্যে আপনি নিজের ফলাফল পাবেন। ভাতের মাড়ে কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ ইনোসিটল থাকে যা চুলের ঘর্ষণকে হ্রাস করে গোড়া থেকে শক্তিশালী করে তোলে। এছাড়া এতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যার কারণে চুল চকচকে করে তোলে। এর পাশাপাশি নমনীয়ও হয়ে ওঠে। ভাতের মাড় ঘরোয়া কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন। এতে চুল উজ্জ্বল ও নরম হবে খুব তাড়াতাড়ি। চুলের অর্ধেক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় আগা ফাটার সমস্যায়। চুলের আগা ফাটার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকলেও, মূলত প্রোটিনের অভাবে এই সমস্যাটি দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে ভাতের মাড় খুব উপকারী। ভাতের মাড়ের অ্যামিনো অ্যাসিড চুলের ক্ষতির মাত্রাকে কমাতে ও চুলের আগা ফাটার সমস্যা কমাতে কাজ করে। এর জন্য ভাতের মাড়ে চুলের আগা ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতি সপ্তাহে তিন বার এভাবে ব্যবহার করতে হবে ভাতের মাড়। চুলের সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হলো খুশকি। বিশেষত শীতকালীন সময়ে এই সমস্যাটি আরও বেড়ে যায়। এই সমস্যাটি থেকেও মুক্তি মিলবে ভাতের মাড় ব্যবহারে। নিয়মিত অল্প পরিমাণ ভাতের মাড়ের সাহায্যে চুল ধুয়ে নিলে মাথার ত্বক তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও আর্দ্রতা পাবে। এতে খুশকির সমস্যাটি সহজে দেখা দেবে না এবং ১৫ দিনের মাঝে খুশকির সমস্যা কমে যাবে। চুল সোজা বা কোকড়া যেমনটাই হোক না কেন, কোমল ও উজ্জ্বল চুল সকলেই চায়।  এর জন্য দীর্ঘ সময় ধরে কোনো হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। ভাতের মাড় ব্যবহারই যথেষ্ট। যেকোন সময় ভাতের মাড়ের সাহায্যে চুল ধুয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে এরপর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। চুলের পাশপাশি ত্বকের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ফ্যান। ভাতের মাড় ঠান্ডা করে তুলা দিয়ে মুখের ও হাত-পায়ের রোদে পোড়া অংশে নিয়মিত মাখতে পারলে বাড়বে ত্বকের জেল্লা। এই পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ত্বক থাকবে সতেজ, বজায় থাকবে ত্বকের আর্দ্রতা। এছাড়াও ত্বকের হাইপার পিগমেন্টেশন আর ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া ঠেকাতে ভাতের মাড় অত্যন্ত কার্যকরী।

#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News