# Pravati Sangbad Digital Desk:
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ায় জি ২০ সম্মেলন হয়। যেখানে ভারত সহ মোট ১৯ টি দেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি সম্মেলন হয় । এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরা ,গোটা বিশ্বের অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবস্থা, আবহাওয়ার পরিবর্তন সহ একাধিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য কিছু আলোচনা। গতকাল এই বৈঠক হয় ইন্দোনেশিয়ায়। এতে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা, যেমন চীনের প্রধানমন্ত্রী জিনপিং, রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পুতিন, ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঝষি সুনাক সহ বহু গুণীজনরা। এই সম্মেলনে সর্বক্ষেত্রে ও সর্বসময় ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি সব দেশকে শান্তি বজায় রাখার উপদেশ দেন এবং তিনি ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানান। ভারত কখনোই হিংসা চায়না, সর্বক্ষেত্রে তা বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। গতকালই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দুটি বোমা বিস্ফোরণ হয় তবে এতে কারোর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এই ঘটনাকে টেনে মোদি যুদ্ধ থামানোর উপদেশ দেন। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, কোভিড এর ফলে এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক ব্যবসার ক্ষেত্রে বহু পরিবর্তন এসেছে। তিনি এও বলেছেন যে," জ্বালানি সরবরাহের উপর কোন রকম বিধি নিষেধে সায় নেই দিল্লির। জ্বালানি নিরাপত্তা ও ভারসাম্য রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই এর উপর কোন বিধি নিষেধ পছন্দ করছে না ভারত।" এছাড়াও তিনি বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সমঝোতা এর মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান ঘটানো উচিত। কারণ করোনার পর সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের এই পরিস্থিতিতে ভারত মার্কিন সহ একাধিক দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে অশোধিত তেল কিনছে রাশিয়ার থেকে। তাই একাধিকবার মার্কিন দেশগুলির তোপের মুখে পড়তে হয়েছে ভারতকে। তাই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সামনে মোদির এই বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। মোদি এই দিন চীনের প্রেসিডেন্ট জিনপিনের সঙ্গেও কথা বলেন এবং বলেন আবহাওয়া পরিবর্তন, রাশিয়া ইউক্রেন দেশের যুদ্ধের ফলে একাধিক নতুন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, গরিবদের আর্থিক অনটন বাড়ছে তাই জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে কোন বাধা কাম্য নয়। পরের বছর এই সম্মেলন হতে চলেছে ভারতবর্ষে। এই প্রসঙ্গে মোদি বলেন ,"পরের বছর যখন গান্ধী ও বুদ্ধর স্থানে এই সম্মেলন হবে তখন সারা বিশ্বকে শান্তির বার্তা দেওয়া আরো সহজ হবে"। এছাড়াও তিনি বলেন ,"দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এবং অবস্থা কোনটিই এখন আর নেই তাই রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে।"
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Srimita Sasmal