বিগত কয়েক বছর ধরে গাড়ি বিক্রির পরিমাণ ক্রমাগত বেরে যাচ্ছিল তার কারণ হলো মানুষের চাহিদা বার ছিল। কিন্তু বর্তমানের এই পরিস্থিতিতে সেই ছবি আর চোখে পড়ে না। নভেম্বরে শোরুম থেকে গাড়ি বিক্রির পরিমাণ অনেক কমে গেছে। সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বরে পূজা অনুষ্ঠান দিওয়ালিতে গাড়ির চাহিদা বাড়ে। বুধবার ফাডা অর্থাৎ ডিলারদের সংগঠন দেশজুড়ে গাড়ি বিক্রির হিসাব প্রকাশ করে এবং সেই হিসেব অনুযায়ী গতবছর নভেম্বরে অতিমারির সময়ের থেকে এই বছরে গাড়ি বিক্রির পরিমাণ কমেছে প্রায় 3 শতাংশ। যা গিয়ে দাঁড়াচ্ছে করো না পরিস্থিতির আগে অর্থাৎ ২০১৯ এর থেকে প্রায় ২০ শতাংশ কম। নভেম্বরের শুরুতে গাড়ি বিক্রির ছবিটা অন্যরকম ছিল গাড়ি সংস্থাগুলি ডিলারদের যে গাড়ি বিক্রি করে তার থেকেই জানা যায়। ফাডা সদস্যদের মধ্যে সমীক্ষার তারা জানা যায় ডিসেম্বরের একইভাবে গাড়ি বিক্রির পরিমাণ হ্রাস পাবে। ফাডার প্রেসিডেন্ট বিঙ্কেশ গুলাটি বলেন “দীপাবলি ও বিয়ের মরশুম থাকা সত্ত্বেও নভেম্বরে কমলো গাড়ি বিক্রি। দু চাকা গাড়ির বাজারও খুবই খারাপ ছিল। গতমাসে দক্ষিণ ভারতের অতি বৃষ্টির ফলে শস্যের ক্ষতি তাছাড়া ট্রেলের চড়া দাম প্রভৃতি কারণে ক্রেতা দের গাড়ি কেনার চাহিদা কমেছে।” শস্যভান্ডার ও গ্রামীণ বাজার উন্নতি না হলে গাড়ির ব্যবসা আপাতত এমনটাই থাকবে বলে মনে করেন গুলাটি। ফাডার সমীক্ষা দ্বারা জানা গেছে ৪৫.৫ শতাংশ ডিলার ধারণা করছে ব্যবসা কমবে। ৩৮.৩ শতাংশ ডিলার দের মতে ব্যবসা একই রকম থাকবে । তবে এরই মাঝে ১৬.২ শতাংশ ডিলার অবশ্য ব্যবসা বাড়বে বলে আশার আলো দেখছেন।
তবে করোনার নয়া ভেরিয়েন্ট এর জেরে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় এখনো পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অফিস কোন কিছুই পুরোপুরি চালু হচ্ছে না ফলে বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রির পরিমাণও হ্রাস পাচ্ছে। করণা পরিস্থিতিতে এমনিতেই অর্থনীতি তলানিতে গেছে। এছাড়াও সেমিকন্ডাক্টর এর মত প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশেরও যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। মারুতি সুজুকি, হুন্ডাই, হোন্ডা মহিন্দ্রা একাধিক গাড়ির সংস্থাটি জানিয়েছে তাদের বিক্রি কমে যাওয়ার কথা। গাড়ি ভ্যান সহ স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল সবকিছুরই বিক্রির পরিমাণ প্রায় ২৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে । গতমাসে ডিলার সংস্থাগুলিকে ২,২৬৩৫৩ টি গাড়ি সরবরাহ করেছে এমনটাই হিসাব ।এদিকে গাড়ি নিতে গেলে ঋণ সংক্রান্ত সমস্যাও বিদ্যমান। তাছাড়াও উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে দু চাকা গাড়ি চালানোও দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ফলে তারা গাড়ির রাস্তা থেকে কিছুটা বিমুখ হয়েছে।