#Pravati Sangbad Digital Desk:
'হার্ট অ্যাটাক' বা 'হৃদরোগ' শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই পরিচিত। যা বর্তমানে অত্যন্ত ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। পূর্বে এই রোগ কেবলমাত্র বৃদ্ধ বয়সে দেখা দিলেও এখন তা হয়ে উঠেছে ব্যতিক্রমী। অনিয়মিত জীবনযাত্রার কারণে তরুণ - তরুণীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন এই হৃদরোগে। চলতি বছরে বহু শিল্পী, গায়ক, খেলোয়াড়, অভিনেতা সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আক্রান্ত হয়েছেন হৃদরোগে। তাঁদের মধ্যে বহুজনকে হারাতে হয়েছে অকালেই। যদিও চিকিৎসাবিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতির কারণে বাঁচানো যাচ্ছে একাধিক তরতাজা প্রাণকে। কিন্তু ঠিক কি কারণে বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যার গ্রাফ উর্দ্ধমূখী? বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো কারণে ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন ব্যহত হলে রক্ত হৃদযন্ত্রে প্রবেশ করতে পারে না বা স্বল্পমাত্রায় প্রবেশ করে। যার ফলে ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কোনো ব্যক্তি উচ্চ রক্তচাপ অথবা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগলে তার দেহে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেশি হয়। যদিও বহু গবেষণার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে আগে থেকেই জানা যায় কোনো ব্যক্তির দেহে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ঠিক কতটা। কিন্তু ঠিক কোন দুই পরীক্ষার মাধ্যমে তা জানা সম্ভব?
• সি.আর.পি (সি রিঅ্যাকশন প্রোটিন) পরীক্ষা : লন্ডনের 'ন্যাশনাল হার্ট অ্যান্ড লাং ইনস্টিটিউট'এর বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘ গবেষণার মাধ্যমে দেখেছেন রক্তে সি.আর.পি প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। ফলে কোনো ব্যক্তির সি.আর.পি টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায় - তার হৃদরোগের সম্ভাবনা আছে কিনা। প্রতি লিটার রক্তে সি.আর.পি এর মাত্রা সাধারণত ১০ মিলিগ্রাম বা তার নীচে থাকা স্বাভাবিক। তবে রক্তে সি.আর.পি প্রোটিনের মাত্রা যদি ১০ মিলিগ্রাম অতিক্রম করে তাহলে হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসকদের মতানুসারে কোনো ব্যক্তির সি.আর.পি টেস্টের মাধ্যমে প্রায় ৩ বছর আগে থেকে বোঝা যায় তার হৃদরোগের সম্ভাবনা ঠিক কতখানি।
• চোখের রেটিনা পরীক্ষা : বহুযুগ আগে থেকেই চোখের রেটিনা পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার রোগ নির্ণয় করে আসছেন চিকিৎসকেরা। কখনো ডায়াবেটিস, কখনো উচ্চ রক্তচাপ, আবার কখনো কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রা নির্ধারণে রেটিনা টেস্টের প্রচলন রয়েছে। সেসবের পর এবার ৮ সদস্যের একটি গবেষক দল তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করে জানান কোনো ব্যক্তির রেটিনা টেস্টের মাধ্যমে তার হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তা নির্ণয় করা যেতে পারে। চোখের রেটিনার ধমনীতে সামান্য পরিবর্তনও হয়ে উঠতে পারে হৃদরোগের সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি, মত বিশেষজ্ঞদের। বর্তমানে অনিয়মিত জীবনযাত্রার ফলস্বরূপ বিশ্বজুড়ে দেখা দিচ্ছে এই ব্যাধি। যা থেকে কেবলমাত্র সামান্য সচেতনতার মাধ্যমেই পাওয়া যায় মুক্তি!
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Uddyaloke Bairagi