World Mental Health Day : আপনি কি ডিপ্রেশন এ ভুগছেন? সমস্ত মানসিক জটিলতার অবসান হবে মাত্র ২১ দিনেই

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

মানসিক ব্যাধি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। শারিরীক ত্রুটি নিরাময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেও মানসিক জটিলতা থেকে বেরোনোর জন্য আমরা কিছুই করি না। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার কোনো সমাধানের চেষ্টা না করলে তা বিরাট আকার ধারণ করতে পারে, এমনটাই দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ঠিক কিভাবে বুঝবেন যে আপনি ডিপ্রেশনে আছেন? সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কমবেশি আমরা প্রত্যেকেই চঞ্চল হয়ে থাকি। পড়াশোনা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে থাকেনা এক শতাংশ‌ও মনোযোগ। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলতে থাকায় একসময় নিজের আত্মবিশ্বাস সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এর পরেই দেখা যায় ক্লান্তি - দুঃখ - একাকিত্ব - অতিরিক্ত রেগে যাওয়ার মতো একাধিক মানসিক জটিলতা। এই সমস্যা থেকে নানাভাবে বেরোনোর চেষ্টা করলেও কোনোভাবেই তা আর সম্ভব হয়না। আর এই পরিস্থিতিকেই মনোবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় 'ডিপ্রেশন'। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এই ডিপ্রেশন কোনো ব্যক্তিকে এমনভাবে গ্রাস করে ফেলে যার ফলে ওই ব্যক্তি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার মতো পন্থা গ্রহণ করে। কিন্তু ঠিক কোন পদ্ধতিতে মুক্তি পাওয়া যাবে এই 'ডিপ্রেশন' নামক দুষ্ট শব্দটির থেকে?
এই সমস্যা থেকে বেরোনো যেতে পারে মাত্র ২১ দিনের একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপনের মাধ্যমে। বিশেষজ্ঞদের মতে ডিপ্রেশনের সবচেয়ে বড় কারণ হলো আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাওয়া। আর তাই বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে নিজের আত্মবিশ্বাস সম্পূর্ণরূপে ফিরে পেলেই অবসান হবে ডিপ্রেশনের।
• বিশেষজ্ঞদের মতে মেডিটেশন হলো বিষণ্ণতা থেকে মুক্তির একটি কার্যকরী পথ। প্রত্যহ সকালে ১৫ মিনিট মেডিটেশন এর অভ্যাস বদলে দিতে পারে জীবন। যদিও এই মেডিটেশন এর পদ্ধতি কিছুটা অন্যরকম। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম-কানুন। মেডিটেশন করার সময় মাথায় রাখা প্রয়োজন সর্বদা যেন চোখ বন্ধ থাকে এবং পিঠের শিরদাঁড়া সর্বদা সোজা অবস্থায় থাকে। এই প্রণালি চলাকালীন অবস্থায় ব্যক্তিকে কল্পনা করতে হবে শিড়দাঁড়া এবং কোমড়ের সংযোগস্থল থেকে একটি অগ্নিগোলক ধীরে ধীরে উর্দ্ধমূখী হয়ে মাথার মধ্যে প্রবেশ করছে এবং সেখানে সেটির বিস্ফোরণ হচ্ছে। এই কাল্পনিক অগ্নিগোলকের উর্দ্ধগমন এবং বিস্ফোরণ প্রণালিটি পর্যায়ক্রমিকভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৫ মিনিট ধরে অভ্যাস করতে হবে। মনে করা হয়, মানুষের দেহে বেশ কিছু চক্র আছে আর সেই চক্রগুলিকে জাগ্রত করার মাধ্যমে নিজের মধ্যে অসীম আত্মবিশ্বাস তৈরি করা যায়। আর এই প্রকারের মেডিটেশন সেই চক্রগুলিকে ধীরে ধীরে জাগ্রত করতে শুরু করে। যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি নিজের মনোসংযোগ এবং আত্মবিশ্বাস দুইই ফিরে পায়।
• পারিপার্শ্বিক পরিবেশের বিভিন্ন প্রকার শব্দ শ্রবণের অধ্যয়ন পরিবর্তন করতে পারে জীবনযাত্রার। প্রতিদিন মেডিটেশন চলাকালীন অবস্থায় শান্ত পরিবেশে চোখ বন্ধ করে পরিবেশের বিভিন্ন প্রকার ক্ষীণ শব্দ শ্রবণের অধ্যয়ন করলে মনোসংযোগ এবং একাগ্রতা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন কোনো ব্যক্তি একসাথে পাঁচ প্রকারের ক্ষীণতর শব্দ শুনতে পাবেন, বুঝতে হবে তখন তিনি একাগ্রতার চরম পর্যায়ে রয়েছেন। মনে করা হয় এই প্রণালি‌ও ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির অন্যতম একটি ঔষধ।
• নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে উদ্দেশ্যে করে বিভিন্ন অনুপ্রেরণামূলক বাক্য বলতে থাকলে তা নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে বহুগুণে সাহায্য করে। এই প্রণালিতে নিজেকে বারংবার মনে করাতে হয় উক্ত ব্যক্তি কোন্ কোন্ বৃহৎ কার্য করার ক্ষমতা রাখেন এবং ভবিষ্যতে তিনি কী কার্যে সফল অবশ্যই হবেন। মনোবিজ্ঞানীদের মতানুসারে উপরের এই তিন ধরনের নিয়মিত অভ্যাস মাত্র ২১ দিনে কোনো ব্যক্তির মধ্যে চরম আত্মবিশ্বাস গঠন করতে পারে। বিষণ্ণতায় জর্জরিত মন-কে করে তুলতে পারে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ।

#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Uddyaloke Bairagi

Related News