#Pravati Sangbad Digital Desk:
সোমবার ভারতীয় সময় রাত ৯ টা বেজে ৩০ মিনিট থেকে ১১ টার মধ্যেই বাংলাদেশে প্রবেশ 'সিত্রাং' এর। প্রবল গতিবেগ নিয়ে ওপার বাংলায় আছড়ে পড়ল সুপার সাইক্লোন। প্রবল ঝড়ের প্রকোপে প্রাণ হারান বাংলাদেশের পাঁচ জেলার ৯ জন। শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে সিত্রাং।
'আমফান' কিংবা 'ইয়াসের' পর এবার 'সিত্রাং' এর থেকে বরাতজোরে রক্ষা পেল পশ্চিমবঙ্গ। সোমবার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং দমকা হাওয়া লক্ষ্য করা গেলেও কোনোরকম বড়সড় বিপর্যয় ঘটেনি। দীপাবলীর দিনে দুর্যোগের পূর্বাভাস থাকায় আগে থাকতেই সতর্ক ছিল প্রশাসন। বিগত কয়েকদিন ধরে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে চলছিল লাগাতার মাইকিং। ২৩ তারিখ থেকে মৎস্যজীবীদের উপর সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এছাড়াও দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে প্রস্তুত ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।
বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে নবান্নে খোলা হয়েছিল কন্ট্রোল রুম। চালু করা হয়েছিল এমার্জেন্সি হেল্পলাইন নাম্বার। পাশাপাশি সোমবার দীপাবলি থাকায় মন্ডপগুলিকে ঝড় থেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন। যদিও জেলার বেশ কয়েকটি পূজা মন্ডপ দমকা হাওয়ায় ভেঙে পড়ে। পরে সেগুলিকে সম্পূর্ণভাবে খুলে ফেলা হয়। পাশাপাশি দমকা হাওয়ায় ভেঙে পড়ে সল্টলেকের একটি মাছের বাজারের অ্যাসবেসটস। যার জেরে আহত হন প্রায় ৬ জন। রাজ্যজুড়ে দমকা হাওয়ায় ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটলেও ঘটেনি কোন বড়সড়ো বিপর্যয়। দুর্যোগের আশঙ্কা থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর তুলনামূলক লোক সংখ্যা কম ছিল তীর্থস্থান গুলিতে। তবে বড় কোন বিপর্যয় না ঘটায় স্বস্তি রাজ্যবাসী।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Uddyaloke Bairagi