ভারতীয় ইন্টারনেটের ইতিহাস

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

(তৃতীয় পর্ব)

২০১৪ সালের মে মাস পর্যন্ত ইন্টারনেট মুলত ৯টি ভিন্ন ধরনের আন্ডার সি ফাইবার দ্বারা সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছিলো। যার মধ্যে সি মে উই-৩, বে অফ বেঙ্গল গেটওয়ে এবং ইউরোপ ইন্ডিয়া গেটওয়ে বিশেষভাবে উল্ল্যেক্ষ। এই তিনটি গেটওয়ে দিয়ে ৫টি ভিন্ন ল্যান্ডিং পয়েন্টে অন্তর্জাল সংযোগ পৌঁছে গিয়েছিলো। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক কালে আগরতলাতে একটি ওভারল্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ তৈরি করেছে ভারত সরকার। ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে ভারত সরকার ডাউনলোডের গতি সর্বনিম্ন ২৫৬ কেবি প্রতি সেকেন্ড থেকে ৫১২ কেবি প্রতি সেকেন্ডে উন্নীত করে। তবে ২০১৫ সাল পর্যন্ত  ভারতে নেট নিরপেক্ষতার জন্য সরকারের কোনো আইন ছিলো না। যার কারনে, পরিষেবা প্রদানকারী বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংস্থা নেট নিরপেক্ষতার নীতি লঙ্ঘন করে। বেশ কয়েকটি নামি টেলিকম সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপ এবং স্কাইপের মতো অনলাইন অ্যাপে ভয়েস কল করার জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে এমন একটি ঘোষণা করে। এরফলে সংস্থাগুলি জনরোষের মুখে পরে। অপরদিকে, এই নেট নিরপেক্ষতা আইন সম্পর্কে মতামতের জন্য সরকার ‘মাই গভ’ নামে একটি ফোরাম তৈরি করেন এবং এই ফোরামে সাধারণ মানুষের মতামত পোস্ট করার জন্য একদিন সময় দেন। পরের দিন বিতর্কের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও সেই সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া ভারত সরকারের পক্ষে সম্ভব হয়নি। এরপর ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ট্রাই সাধারণ জনগণের মতামত চেয়ে ওটিটি পরিষেবাকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য একটি পরামর্শপ্ত্র প্রকাশ করে। সাধারণ মানুষ এই পত্রকে ব্যাপকভাবে নিন্দা করে। এরপরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ট্রাই টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে ডেটার জন্য বিভিন্ন ধরনের হার ধার্য করা থেকে নিষিদ্ধ করে, এই সিদ্ধান্তকে সাধারণ জনগণ স্বাগত জানান শুধু তাই নয় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের প্রধানও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Tamoghna Mukherjee