Flash News
Monday, September 22, 2025

জেনে নিন বিপত্তারিণী পুজোর যাবতীয় রীতি নীতি

banner

journalist Name : sagarika chakraborty

#Pravati Sangbad Digital Desk:

মা মহামায়ার আরেক রূপ হলেন বিপত্তারিণী যা খুবই জাগ্রত। ভক্তদের বিশ্বাস যেকোন বিপদ হরণ করবেন এই দেবী। এছাড়া এই পুজো করলে সংসারে কোনরকম বিপদ-আপদের আঁচ আসবে না বলে বিশ্বাস ভক্তদের।
পুরানে আছে দুই অসুর ভাই  শুম্ভ এবং নিশুম্ভ যাদের জেরে বিব্রত ছিলেন দেবতারা। তাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তারা স্তব করেন মহা শক্তিশালী দেবীরূপী মহামায়ার। এরপর তারা দেবীর পূজোর প্রস্তুতি নিলে সেখানে উপস্থিত হন শিব এবং পার্বতী। পার্বতী সেখানে দেবতাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখেন তোমরা কার পুজো করছ! দেবী আসলে পরীক্ষা করে দেখতে চেয়েছিলেন দেবতাদের, কিন্তু দেবতারা তাকে চিনতে ব্যর্থ হয় এরপরে দেবী স্বরূপে দেবতাদের সামনে আসেন এবং বলেন দেবতারা তারই স্তব তৈরি করেছেন কিন্তু বুঝতে পারেননি। এরপর তিনি ওই দুই অসুরকে বধ করেন দেবতাদের রক্ষা করতে। এরপর থেকেই বিপদ হরণ হিসেবে বিপত্তারিনির পূজা হয়, ধীরে ধীরে মর্তলোকেও শুরু হয় পুজো।
বিধি অনুসারে রথ এবং উল্টো রথের মধ্যবর্তী শনি এবং মঙ্গলবারে বিপত্তারিণী দেবীর পূজা হয়। আষাঢ় মাসে শুক্লা তিথিতে এই ব্রত পালন করা হয়। পুজো করার নিয়ম নীতি গুলি হল, এই পুজোয় ১৩ নাম্বার সংখ্যাটির প্রাধান্য দেওয়া হয়। যেমন পুজোতে ব্যবহৃত সব জিনিসই ১৩ টি হয়, ১৩ টি ফল ১৩ টি ফুল ১৩ রকমের নৈবিত্ত আবার কেউ কেউ ১৩ টি করে ছোট ছোট লুচি ভেজে ও খান কারণ ব্রত পালনের দিন চাল বা চালের তৈরি কোন খাবার খাওয়া যায় না তাই তার বিকল্প হিসেবে আটা-ময়দা। শুধু চালই নয় ব্রতর দিনে মুড়ি, খই, চিরে এইসব ও দূরে রাখতে হয়। এছাড়া আল সুতোয় ১৩ টা গিঠ বেঁধে পুজো করা হয়, এগুলি ধাগা হিসেবে হাতে বাধা হয় মঙ্গল কামনা এবং বিপধরনের জন্য।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

ধর্ম
Related News