বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে জেনে নিন মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সংগীতের প্রভাব কতটা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

আজ একুশে জুন, বিশ্ব সংগীত দিবস। গানের সাথে মানুষের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রতিদিন বিভিন্ন সময় ,বিভিন্ন অনুভূতিকে নতুন নতুন ভাবে আমরা উপভোগ করে থাকি গানের মাধ্যমে। গান যে শুধু আনন্দদায়ক তা নয় আমাদের স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে গান। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে স্মৃতিশক্তি উন্নতিতে গানের ভূমিকা অপরিসীম। মানসিকভাবে স্ট্রেস দূর করতে গানের কোনো তুলনা নেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেক সময় দুশ্চিন্তা হোক বা বিভিন্ন কাজের চাপে আমাদের স্ট্রেস থাকে সে ক্ষেত্রে কোন হালকা টোনের মিউজিক হোক বা নিজের পছন্দসই যে কোন গান মন ভালো করে তোলে। তবে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস দূর করার জন্য অত্যাধিক জোরে গান না শোনাই উচিত বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা কারণ এটি মস্তিষ্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞরা অনেক সময়ে পরামর্শ দেন যে কোন কাজ করার সময় কিছু হালকা গান চালিয়ে রাখতে এতে কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে এবং মস্তিষ্কে সেরকম চাপও পড়ে না। প্রতিটা দিন শুরু করার সময় হালকা কিছু গান চালিয়ে দিনটা শুরু করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া সকালে শরীরচর্চার সময় হোক বা রান্না করার সময় সব সময় গান চালিয়ে রাখলেই মানসিক চাপ মুক্ত থাকা যায়। আবার ছোট থেকেই শিশুদের সাথে গানের যোগ সাধন করার পরামর্শ দেন বিভিন্ন চিকিৎসা বিজ্ঞান। এতে দেখা গেছে শিশুদের মন শান্ত থাকে পড়াশোনায় মন বসে এছাড়াও ভাষা জ্ঞান সম্পর্কে একটি ধারণা হয়। আবার অনেক সময় মস্তিষ্ক অধিক চঞ্চল থাকলে শান্ত গান শুনলে সেইসব মানুষের মনোযোগ বৃদ্ধি পায় যে কোন কাজে। প্রাচীনকাল থেকেই গানকে মানুষ এক অপূর্ব সৃষ্টির জায়গা দিয়েছে, গানের মধ্যে দিয়ে মানুষ আলাদা রকমের এক প্রেরণা পায়। চিকিৎসাশাস্ত্রে অনেক বড় বড় অপারেশনের ক্ষেত্রে মিউজিক থেরাপির পরামর্শ দেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও যেসব মানুষ অনিদ্রাজনিত সমস্যায় ভুগছেন কোন মৃদু সুরের গান শুনলে তাদের মস্তিষ্ক অনেকটা শান্ত হয় এবং নিদ্রা আসে স্বাভাবিকভাবে। তাই সব জায়গাতেই সুকণ্ঠ মানুষের চাহিদা অনেক বেশি কারণ তারা পরিবেশন করতে পারেন অনেক ভালো গান।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sagarika Chakraborty