#Pravati Sangbad Digital Desk:
অম্বুবাচী কে এক শুদ্ধ তিথি বলে মেনে আসা হয়। পুরাণের নীতি অনুযায়ী বলা হয় এই সময় কামাখ্যা মন্দিরের দেবী কামাখ্যা স্বয়ং বছরের এই কদিন ঋতুমতী হন। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী যে বারের যে সময়ে সূর্য মিথুন রাশির দিকে অগ্রসর হয় সেই সময় টিকে এবং সেই বারটিকেই অম্বুবাচীর শুরু ধরা হয়। অবশ্য পঞ্জিকা অনুসারে এর আলাদা দিন আছে সেটি হল আষাঢ় মাসের ৭ তারিখ থেকে ১০ তারিখ। প্রথম 3 দিন হয় অম্বুবাচী প্রবৃত্তি এবং তারপর হয় নিবৃত্তি। অম্বুবাচী নিবৃত্তির পর আবার নতুন করে শুরু করা হয় চাষ-আবাদ। পুরাণের লোক নিয়ম অনুসারে আষাঢ় মাসে যখন মৃগশিরা নক্ষত্রের তিন পদই শেষ হয়ে যায় সেই সময় গোটা পৃথিবী ঋতুময়ী হয় এবং পালন করা হয় অম্বুবাচী।
এই অম্বুবাচী প্রথাটি মূলত আবর্তিত হয় বিধবাদের ঘিরে। গ্রামবাংলায় বিধবা মহিলারা চার দিন ধরে এই ব্রত পালন করে, এছাড়াও পিঠে পায়েস বানায় তারা। অম্বাবুচি শুরুর আগে তারা যাবতীয় রান্না করে রাখে এবং অম্বুবাচীর ওই তিন দিন তারা আগের রান্না করা খাবার গুলি খায়। ওই তিথি চলাকালীন কোন গরম খাবার বা পানীয় তারা খায় না। কামরূপ কামাখ্যায় বিশাল উৎসব পালন করা হয় অম্বুবাচীর কয়েকদিন। তিন দিন ধরে পূজা করা হয় কামরূপ কামাখ্যা তে। ওই বিশেষ তিন দিন হল আষাঢ়ের 7 তারিখ থেকে 10 তারিখ অর্থাৎ সূর্যের দক্ষিণায়নের দিন থেকে।