কাশ্মীরের কিছু নাগরিকদের দেশদ্রোহী মতপোষণ

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

 সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। কাশ্মীর থেকে ফিরেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ বিচারপতির , প্রোটোকল অফিসারসহ একাধিক সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে যে, ২৫শে মে সপরিবারে কাশ্মীর বেড়াতে যান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে বিচারপতিদের যে সাহায্য বা সুবিধা দেওয়া হয়, তা পাননি যার কারণ অজ্ঞাত। কাশ্মীরে মাত্র আধ ঘণ্টার জন্য একজন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী দিয়েছিলেন জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রোটোকল অফিসার! এমনকি, সোনমার্গে হোটেল বুক করে দেওয়ার নামে খোদ কলকাতার হাইকোর্টের বিচারপতির কাছ থেকে কাটমানি আদায়ের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও অভিযোগ, সরকারি হোটেল থাকা সত্ত্বেও তাঁকে না জানিয়েই নিম্নমানের হোটেল বুক করে দেন কাশ্মীরের সরকারি আধিকারিকরা। গোটা একটা দিন নিরাপত্তাবেষ্টনী ছাড়া থাকতে হয়। পাইলট কার ছিল না, কার্গিল থেকে সোনমার্গ ফেরার পথে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ভাগ্যক্রমে! শুধু তাই নয়, কার্গিল ওয়ার মেমোরিয়াল দেখার সময়ে নাকি স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, টাইগার হিল, টুরটুকসহ গোটা এলাকাটাই পাকিস্তানের ছিল। ভারতীয় সেনা জোর করে দখল করেছে। বিচারপতির আরও অভিযোগ, সোনমার্গে হোটেল বুকিং করার নামে কাটমানি নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে তাঁর থেকে। তিনি এই অভিযোগ করেছেন খোদ জম্মু - কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রোটোকল অফিসারদের বিরুদ্ধে। তিনি জানান, সরকারি হোটেল থাকা সত্ত্বেও তাঁকে না জানিয়েই থাকার জন্য ১৩ হাজার টাকায় (প্রতিরাত) অতি নিম্নমানের হোটেল বুক করা হয়। এমনকি বিচারপতিকে ' জাহান্নামে যান ' এই ধরনের মন্তব্যও করেছেন জম্মু - কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রোটোকল অফিসার। বিচারপতির বক্তব্য, এটা দেশবিরোধী মনোভাব। এই সমস্ত ঘটনা বিস্তারিত জানিয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও পত্র দিয়েছেন, বলে জানান বিচারপতি। চিঠিতে তিনি ভূস্বর্গের পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বারবার বলেছিলেন, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে। দীর্ঘ ৮ বছর কেটে গেলেও তা যে হয়নি, তা প্রমাণ করল বিচারপতির পাঠানো চিঠি। দেশাত্মবোধের স্বার্থে , শীঘ্র এই বিরোধী মনোভাব দূর হওয়া দরকার।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : SRIJITA MALLICK

Related News