স্কুল নিয়োগের পর এবার ব্যাঙ্ক নিয়োগে দুর্নীতি

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

এসএসসি মামলায় নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠেছিল পর্যবেক্ষণ কমিটির বিরুদ্ধে।এ বার বেআইনি ভাবে নিয়োগের অভিযোগ উঠল তমলুক-ঘাটাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকে । মঙ্গলবার হাইকোর্টে রাজ্যের একটি কো- অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নিয়োগ নিয়েও কিছুটা একই ধরনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কো- অপারেটিভ ব্যাঙ্কের  বিরুদ্ধে উঠল নিয়োগ দুর্নীতি  মামলা। অভিযোগ তোলা হয়েছে, ১৩৪ জনের বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। এই অভিযোগেই মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ, দীর্ঘ বছর বিন্দুমাত্র নিয়ম মানা হয়নি।একসময়ের অধিকারী এলাকার এই ব্যাঙ্কের ঘনিষ্ঠ ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, এই ব্যাঙ্কের প্রায় ২৭ টি শাখা আছে।



এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিজেপি নেতা আশিস মণ্ডল। তাঁর দাবি, গত বছর এই নিয়োগগুলি করা হয়েছে। আশিসের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানান, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে অমান্য করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ কো-অপারেটিভ সার্ভিস কমিশনের ২০০৬ সালের আইন। এই আইন অনুযায়ী কো-অপারেটিভ সার্ভিস কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ করা উচিত। কিন্তু সার্ভিস কমিশনের কোনও সুপারিশ ছাড়াই এই নিয়োগ করা হয়েছে বলে আদালতে জানান মামলাকারী।প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এই মামলায় নিয়োগ নিয়ে ব্যাঙ্ককে পার্টি করতে হবে।আগামী ২ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।গত এপ্রিলে ৭৩৮ জনের নিয়োগ হয়েছে। কিন্তু এখনও গোটা প্রক্রিয়ার কোনও নিয়োগ তালিকাই প্রকাশ করা হয়নি। আরও অভিযোগ, কেউ কেউ পাশ না করেও চাকরি করছেন বলে। মামলাকারীদের দাবি, গত এপ্রিলেও চাকরি দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের তরফে বলা হয়, ওই নিয়োগ সম্পূর্ণ অন্য। রাজ্যের পক্ষ থেকে এই মামলা খারিজেরও আবেদন জানানো হয়। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে এই ব্যাঙ্কে অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে কর্মী নিয়োগ হয়। অনেকেই ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত মাইনের চাকরি পেয়েছেন। ম্যানেজার পদে দু’জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১২ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের মাস মাইনে এক লক্ষ টাকা। এব্যাপারে ওই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান ডিরেক্টর কমলেশ চক্রবর্তী বলেন, "গত তিন বছরে এই বোর্ডের বেআইনি এবং নিয়ম বহির্ভূত কাজকর্মের ফলে ব্যাঙ্ক গভীর সঙ্কটের মুখে পড়েছে। দুর্নীতি ও স্বজনপোষণে ব্যাঙ্কের অস্তিত্ব আজ সঙ্কটে"। এব্যাপারে ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান গোপাল মাইতি বলেন, "সমবায় দপ্তর আমাদের কাছ থেকে যে রিপোর্ট চেয়েছিল, আমরা তা দিয়েছি। এখন তদন্ত কমিটি হয়েছে। তানিয়ে আমরা চিন্তা করছি না"। 

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : SRIJITA MALLICK

Tags:

Related News