নারীদের শিক্ষিত করতে পারলেই জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে: নীতিশ কুমার

banner

journalist Name : SRIJITA MALLICK

#Pravati Sangbad Digital Desk:

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নয়া আইন প্রণয়নের পক্ষে সওয়াল করেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। তার জন্য তৈরি হয়েছে নয়া আইনের খসড়াও। কিন্তু, বিজেপির জোট সঙ্গী হয়েও এই ধরনের কোনও আইন চালুর একেবারেই পক্ষপাতী নন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর মতে, আইনের জোর খাটিয়ে কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। তার চেয়ে বরং মেয়েদের উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত। কন্যা সন্তানরা শিক্ষিত হলেই দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। বিভিন্ন সমীক্ষা, গবেষণার উল্লেখ করে নীতীশ বলেন, যে দম্পতিদের মধ্যে স্ত্রী ক্লাস টেন পাশ, তাদের গড়ে সন্তান দুটি। যেক্ষেত্রে দম্পতিদের মধ্যে স্ত্রী বারো ক্লাস পাশ, তাদের গড়ে সন্তান ১.৬। এটা থেকেই প্রমাণিত, শিক্ষা জনসংখ্যা নির্ধারণে অবশ্যই একটা বড় ভূমিকা নেয়।
নীতীশ কুমার বলেন, বিহারে প্রজনন হার আগের থেকে প্রায় আট শতাংশ থেকে তিন শতাংশে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, “রাজ্যের নারী ও মেয়েদের শিক্ষিত করার জন্য আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার কারণে এটি ঘটেছে। আমি আশা করি আগামী চার-পাঁচ বছরে এটি আরও দুই শতাংশে নেমে আসবে”। তিনি চিনের উদাহরণ উল্লেখ করেছেন যেখানে বহু বছর ধরে এক সন্তান নীতি প্রচলিত ছিল।এর আগেও এই প্রসঙ্গে নীতিশ কুমার জানিয়েছিলেন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। আইন করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়না বলেই জানিয়েছিলেন এনডিএ শরিক জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমার।
যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে নীতিশ কুমারকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। নীতিশকুমারের সমর্থনের মূল ভিত্তি ওবিসি, ইবিসি এবং দলিতরা। সেই অংশকেই নীতিশের থেকে দূরে সরাতে তৎপর বিজেপি। এর পালটা হিসেবে নীতিশ কুমারও বিজেপির ওপর চাপ বাড়াতে জাতিভিত্তিক জনগণনায় জোর দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বিজেপি শাসিত অসমের পর উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল আনতে চলেছে। এই বিলে বলা হয়েছে, যাদের দুটির বেশি সন্তান তারা সরকারি চাকরি পাবে না। সমস্ত ধরনের সরকারি ভর্তুকি, সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। এমনকী স্থানীয় নির্বাচনে লড়তে পারবেন না।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

দেশ
Related News