#Pravati Sangbad Digital Desk:
অনেকেই এলার্জি সমস্যায় ভোগে ছোট থেকেই। এটি এমন একটি রোগ যা অনেক ছোট ছোট জিনিস থেকে বড় আকার ধারণ করে এবং বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবার মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। এলার্জি খুব ছোট জিনিস হলেও এটি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কারুর এলার্জি থাকলে বিশেষ কয়েকটি খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা এবার সেই খাবারের ওপর বিধিনিষেধ চাপালো রাজ্য সরকার। গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য এবং খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিক এর সাথে মুখ্য সচিব বৈঠক করেন যাতে এই বিধিনিষেধ জারির কথা ঠিক হয় ।এলার্জিজনিত খাবার হিসেবে মোট আটটি জিনিসকে চিহ্নিত করা হয়েছে স্বাস্থ্য ও খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে, সেগুলি কাঁচা এবং রান্না অবস্থায় বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্কীকরণ হিসেবে এলার্জি কথাটি উল্লেখ করতে হবে এবং বিক্রি করার আগে নিতে হবে ফুড সেফটি অনুমতি। এছাড়াও খাবারের দোকানে ভাজা তিন তিনবারের বেশি কখনোই ব্যবহার করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে।যে আটটি খাবারকে এলার্জি প্রোডাক্ট বলে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলি হল চিংড়ি, কাকড়া, শামুক, কচ্ছপ ,গরুর দুধ, সয়াবিন, গম। এগুলিকে এলার্জি প্রোডাক্ট হিসেবে চিহ্নিত করলেও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ মানুষের সাপেক্ষে এটি পরিবর্তিত হয় তা পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষ। তবে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বলা হয়েছে চিহ্নিত ৮টি খাবার রান্না বা কাঁচা যেকোনো অবস্থাতেই বিক্রির সময় প্যাকেটের গায়ে এলার্জি প্রোডাক্ট হিসেবে লিখে দিতে হবে। সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে এসব জিনিস বেশি বিক্রি হয় যা থেকে অ্যালার্জি ছড়ায় সমুদ্রতীরবর্তী বিভিন্ন হোটেলের ব্যবসায়ীদের সাথে বারংবার কথাবার্তা বলা হয়েছে এবং তারপরেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তাদের বোঝানো হয়েছে এটি কতটা জরুরি। এই নিয়ম প্রথমে বড় বড় হোটেল এবং রেস্তোরাঁতে চালু করা হবে তারপর ধীরে ধীরে সবকটি দোকানে এটি জারি করা হবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয় এই প্রথম কোন রাজ্য স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে এরকম সিদ্ধান্ত নিল।