#Pravati Sangbad Digital Desk:
দিন দিন ওষুধের দাম বেড়েই চলছে, এর সাথে বাড়ছে বেসরকারি হাসপাতালের বেডের ভাড়া। এবার সেই বৃদ্ধিতে রাশ টানল ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন। কমিশন সোমবারের একটা নির্দেশিকায় জানিয়েছেন, বছরে একবারই এবং সর্বোচ্চ ১০% পর্যন্ত বেড ভাড়া বাড়তে পারবে। আগে কর্পোরেট হাসপাতালগুলি যেমন ভাবে জেনারেল বেডের ভাড়া এক-দেড় হাজার টাকা থেকে দু-আড়াই হাজার বাড়িয়ে দিত, এবার থেকে তা পারবেনা। আর এই ভাড়ার মধ্যেই থাকবে প্রথমত, পানীয় জল,তার জন্য টাকা নেওয়া যাবেনা। দ্বিতীয়ত, সিসিইউয়ে চিকিৎসাধীন রোগীর কাছে রুটিন প্রসিডিউরের জন্য কোনও টাকা নেওয়া যাবে না। অতিরিক্ত চার্জ করা যাবে শুধুমাত্র ভেন্টিলেশন, ট্র্যাকিওস্টোমি এবং একমো পরিষেবার ক্ষেত্রে। এই ব্যবস্থার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই লাভবান হবে সাধারণ মানুষ। করোনাকালে বেড ভাড়া যাতে না বাড়ে তার নির্দেশিকা দু’বছর আগেই জারি করেছিল ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন। সম্প্রতি, বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনগুলির তরফে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছিল, তাদের পক্ষে স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
কারণ হিসাবে বলা হয়েছিল, কোভিড পরবর্তী সময়ে চিকিৎসার খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। ওয়াকিবহল মহলের একাংশের ধারণা, এই জটিল অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্যই কোভিড আবহে বেড চার্জের উপর যে অ্যাডভাইজারি ছিল, তা এবার বাতিল করা হল। কিন্তু ঘুরপথে অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হল। কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “করোনা পরিস্থিতির কারণে দু’বছর পরে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে বেড ভাড়া বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হল। কিন্তু তা বেঁধেও রাখা হল।” পানীয় জলের মত একটা অল্প সংখ্যক সুবিধা বেড ভাড়ার সঙ্গেই দিতে হবে। তবে মিনারেল ওয়াটারের দাম নেওয়া হবে। কমিশন বলেন, ক্রিটিক্যাল কেয়ারের বেড ভাড়া এমন রাখতে হবে যাতে আলাদা করে ক্যানুলা, চ্যানেল ইত্যাদি রুটিন বিষয়গুলির জন্য আলাদা করে চার্জ করতে না হয়। অনেকের দাবি, সব রোগীর এই সমস্ত ব্যবস্থা লাগেনা তাই বেড ভাড়া না বাড়িয়ে কম রাখাই যুক্তিযুক্ত।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Aditi Sarker