#Pravati Sangbad Digital Desk:
দিল্লী এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল মিলিয়ে বাঙালি জনসংখ্যা প্রায় আশা করা যায় ১৯ লক্ষ। আর তাদের জন্য বাংলা বই দোকান মাত্র দুটি! অবাক লাগে না এটা ভেবে! কিন্তু অবাক লাগলেও সত্যিই এটাই যে আনন্দ পাবলিশার্স এবং মুক্তধারা পুস্তক বিপণী ছাড়া এখানে আর একটিও বাংলা বইয়ের দোকান নেই। বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা পরিচালিত মুক্তধারা বিপণী দীর্ঘদিন ধরে দিল্লীবাসী বাঙালিদের বাংলা বইয়ের খিদের চাহিদা মিটিয়ে এসেছে। ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয় এই দোকানে বাংলা বইয়ের কেনা বেচা। নতুন পুরনো সব রকমের বই পাওয়া যায় , বিশেষ ছাড় সহ এই দোকানে। সরকারী ছুটি এবং রবিবার ছাড়া এই দোকান বন্ধ থাকে না কোনোদিন। বেলা ১১:০০ টা থেকে শুরু করে সন্ধে ৬:০০ অবধি খোলা থাকে এই দোকান। এই দোকানে বাংলা বইয়ের চাহিদা এবং অসংখ্য মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মত। কিছু বছর পর অর্থাৎ ২০১২ সালের অক্টোবরে দিল্লিতে পদার্পণ করে আরও একটি বাংলা বইয়ের দোকান, আনন্দ পাবলিশার্স। এখানে বাংলা সাহিত্যের অগ্রণী প্রকাশনা সংস্থার প্রকাশিত অন্যান্য বই পাওয়া যায়।
প্রায় প্রতিদিন ১০:৩০ টা থেকে রাত ৮:৩০ অবধি খোলা থাকে এই দোকানটি। অন্যান্য দোকানের মত এই দোকানের ভিড় ও থাকে দেখার মত। কিন্তু দুটো দোকানেই কি চাহিদা মেটানো যায়? আর ঠিক সেই কারণে দিল্লির অধ্যাপক সহ অনেক অধিবাসীর দাবী বাংলা বইয়ের দোকান আরো বাড়াতে হবে। রাজধানীর দীর্ঘ দিনের বাসিন্দা চিরশ্রী বিশী চক্রবর্তী বলেন, "বাংলা বই দিল্লিতে দুষ্প্রাপ্য। বাঙালির সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু নানা ধরনের বাংলা বইয়ের দোকান বাড়ছে না"। সাহিত্য অ্যাকাডেমির গ্রন্থাগারিক বিশ্বজিৎ সিংহের মতে, "৯'র দশকের পর থেকে পাঠকের রূপ পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু পাঠকের বাংলা পড়ার খিদে এখনও আছে। তাই যেভাবে হোক বাংলা বইয়ের দোকান বাড়ানো হোক"। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা শাশ্বতী গাঙ্গুলী বলেন, "প্রায় ২৪ বছর দিল্লিতে আছি, প্রথমে সরস্বতী বুক ডিপো বলে একটি বইয়ের দোকান ছিল। পড়ে সেটি বন্ধ হয়ে যায়, এখন এই দুটি দোকান ই ভরসা। তবে দোকান আরো বাড়াতে হবে। তবে পাঠকদের চাহিদা বাড়বে"।