চিরাচরিত পোষ্যের পরিবর্তে কিছু অন্যধরনের পোষ্য রাখতেই পারেন আপনার কাছে, দেখে নেওয়া যাক তারই কয়েকটি নমুনা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

সারা বিশ্বজুড়েই কম-বেশি পশু পালন করা হয়ে থাকে। সাধারভাবে কুকুর, বিড়াল, গরু, মহিষ, খরগোশেরা পোষ্য হিসেবে ঘরে ঘরে প্রচলিত হলেও, অনেকেই এর বাইরেও অন্যরকম পশুদের পোষ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। যেমন-
১) বেবি লামা – বেবি লামা বা শিশু লামা অর্থাৎ বাচ্চা উঠ। এদের আগে মালবাহী পোষ্য হিসেবে ব্যবহার করা হলেও এখন এদের দক্ষিণ আমেরিকায় গৃহপালিত পোষ্য হিসেবে পালিত করা হয়। জন্মের সময়ে এদের ওজন ৯-১৪ কেজি হয়ে থাকে। এদের স্থায়িত্বকাল ১৫-২০ বছর পর্যন্ত। এরা তৃণভোজী। এদের দেখতে খুবই মিষ্টি এবং স্বভাবে চঞ্চল প্রকৃতির। এদের পশমের রঙ সাদা ও বাদামি। এরা সবার সাথে খুব সহজেই মিশে যায় এবং খুব প্রভুভক্ত হয়ে থাকে। এদের সাথে যদি কেউ খারাপ ব্যবহার করে, তখন এরা তাদের থেকে দূরত্ব তৈরি করে নেয়।
২) বেবি স্লথ – স্লথ, যার চলাফেরার উপর নির্ভর করে নাম রাখা হয়েছে অর্থাৎ এরা অত্যন্ত ধীরগতিতে চলাফেরা করে। দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকায় এদের বসবাস বেশি। এদের সর্বোচ্চ সময় গাছে ঝুলেই কেটে যায়, তাই এদের অলসপ্রাণীদের তালিকায় রাখা হয়। এদের অনেক উচ্চ- রক্ষণাবেক্ষণে রাখা হয়। এরা সাধারণত পোকা-মাকড়, গাছের পাতা খেয়েই জীবন ধারন করে থাকে। এরা প্রায় ৮০-৯০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
৩) অজগর – অজগর, নামের মধ্যেই কেমন একটা ভয় বিরাজ করে। কিন্তু ভয় হলে কি হবে, এই অজগরকেই বিশ্বের অনেক সাপপ্রেমীই পোষ্য হিসেবে গ্রহণ করছে। এদের আকার ও আয়তনকে কেন্দ্র করে খাঁচায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়।

৪) পকেট মঙ্কি – পকেট মঙ্কি বা পকেট বাদুড়, যার অপর নাম পিগমি মারমোসেট। এরা আকারে পকেটের মতো এবং হাতের এক আঙ্গুলের মতো হওয়ায় এদের পকেট মঙ্কি বা ফিঙ্গার মঙ্কিও বলা হয়। এরা অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির হওয়ায় এরা পোষ্য হিসেবে খুবই মানানসই। এদের প্রিয় খাদ্যই হল ফল। বিশ্বে অন্যতম সবচেয়ে ছোটো বাঁদর হওয়ার জন্য এদের ওজন মাত্র ১০০ গ্রাম। এদের সাধারণত চিরহরিৎ ও নদীর ধারের বনগুলিতে দেখতে পাওয়া যায়।

৫) হন্ডুরান সাদা বাদুড় – এই বাদুড় বিশ্বের সবচেয়ে ছোটো এবং অপ্রতিম বাদুড়ের তালিকায় পরে। দূর থেকে এদের ছোটো ছোটো সাদা বলের মতো দেখতে লাগে। পুরুষ বাদুড় স্ত্রী বাদুড়ের থেকে একটু বড় ও ভারি হয়। এদের বাস হ্যালি কহিয়া পাতাকে কেন্দ্র করে। এরা কৌশলগতভাবে দাঁত দিয়ে গাছের পাতার পাঁজর কেটে পাতার তাঁবু তৈরি করে। এরা সাধারণত এক প্রজাতির ডুমুরের ফল খেয়ে থাকে। এরা সাধারণত মধ্য আমেরিকার হন্ডুরাস অঞ্চলের অন্তর্গত। এছাড়া কোস্টারিকা, নিকারাগুয়া, পশ্চিম পানামায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭০০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় এদের দেখতে পাওয়া যায়। একদম ছোটো অবস্থায় এদের কান ও নাক ছোটো হলুদ পাতার মতো দেখতে লাগে। 

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Swarnalye Paul

Tags:

Related News