প্রথম সপ্তাহান্তেই প্রায় ১৮ কোটির ব্যবসা , অনুরাগ বসু – বলিউডের এক পরিচিত ও প্রতিভাবান পরিচালক, যিনি বারবার প্রমাণ করে দিয়েছেন, সম্পর্ক, আবেগ এবং বাস্তব জীবনের টানাপোড়েনকে রুপালি পর্দায় কতটা নিখুঁতভাবে তুলে ধরা যায়। ‘মার্ডার’ , ‘গ্যাংস্টার’, ‘বরফি’- একের পর এক ছবিতে তিনি সিনেমার ভাষাকে নিজস্ব ঢঙে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর ২০০৭ সালের প্রশংসিত ও দর্শকপ্রিয় ছবি ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’- র গল্প, আবহ এবং সুর এখনো বহু সিনেপ্রেমীর মনে গেঁথে আছে। ঠিক সেখান থেকেই শুরু ‘মেট্রো- ইন দিনো’ -র সফর। এই ছবি মূলত সেই আগের গল্পের আধুনিক পুনর্নির্মাণ নয়, বরং নতুন প্রজন্মের আবেগ, সম্পর্ক ও বাস্তবতাকে ঘিরে এক নতুন উপস্থাপনা।
‘সিতারে জমিন পর’ : শিক্ষা, সহানুভূতির নতুন মোড়কে মোড়া ,আমির খানের পরিচালনাই এবার বক্সঅফিসে
৪ জুলাই, শুক্রবার মুক্তি পায় বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘মেট্রো- ইন দিনো’ । যদিও প্রথম দিনের বক্স অফিস পারফরম্যান্স আশানুরূপ হয়নি। ছবি মাত্র ৩.৫ কোটি টাকার ব্যবসা করে। একটি মাল্টিস্টারার ছবি, যার পরিচালক অনুরাগ বসুর মতো নামী হস্তি, সেই প্রেক্ষিতে এমন শুরু কিছুটা হতাশাজনকই মনে হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ছবি নিয়ে দর্শকের আগ্রহ থাকলেও প্রথম দিন সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হওয়ায় এবং ছবির প্রচার তুলনায় কম হওয়ায়, মুক্তির দিনে তেমন ভিড় হয়নি প্রেক্ষাগৃহে।
তবে শুক্রবারের ধীর সূচনা সাময়িকই ছিল। ৫ জুলাই শনিবার থেকে ছবির বক্স অফিস কালেকশন দ্রুত বাড়তে শুরু করে। বিশ্লেষক সংস্থা ‘সাকনিলক’-এর তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ছবির আয় প্রথম দিনের তুলনায় প্রায় ৭১.৪৩% বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছয় ৬ কোটিতে। রবিবার অর্থাৎ ৬ জুলাই, ছবিটি আরও ভালো পারফর্ম করে এবং আয় করে প্রায় ৭ থেকে ৮.৫ কোটির মধ্যে। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহান্তে (শুক্রবার-রবিবার) ছবির মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ১৮ কোটি টাকার আশেপাশে। এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, ছবিটি 'ওয়ার্ড অফ মাউথ' অর্থাৎ দর্শকের মুখে মুখে প্রশংসা পেয়ে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে।‘ মেট্রো… ইন দিনো’-তে অভিনয় করেছেন বলিউডের একঝাঁক প্রতিভাবান শিল্পী। কঙ্কনা সেনশর্মা, পঙ্কজ ত্রিপাঠি, আদিত্য রয় কাপুর, সারা আলি খান, ফাতিমা সানা শেখ, আলি ফজ়ল, নীনা গুপ্ত, অনুপম খের, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা একে অপরের সঙ্গে ছায়া-ধরা কেমিস্ট্রি তৈরি করেছেন। প্রত্যেকটি চরিত্র যেন আলাদা এক গল্প। প্রেম, বিচ্ছেদ, আত্মপরিচয়ের টানাপোড়েন, বয়সের ব্যবধান – সবকিছুকে এক সূক্ষ্ম অনুভব দিয়ে ছুঁয়ে গেছেন পরিচালক। বিশেষ করে কঙ্কনা-পঙ্কজ এবং ফাতিমা-আদিত্য জুটি দর্শকের বেশ মন জয় করেছে। ছবির সংলাপ এবং আবহসংগীতও ছবিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে।